কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের হট্টগোল আর বিরোধীদের সমালোচনা হতাশ করল কংগ্রেসের চকম দেওয়ার প্রচেষ্টাকে
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষ রেল বাজেটে গরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে হাঁটল কংগ্রেস। যাত্রী ভাড়া ও পণ্য মাশুল নির্ধারণের জন্য স্বাধীন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেটে। সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্বাধীন ভাবে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। এর ফলে, রেলে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য মাশুল ঠিক করার বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্কারের লক্ষ্যে আরও একটি পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষ রেল বাজেটে গরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারের পথে হাঁটল কংগ্রেস। যাত্রী ভাড়া ও পণ্য মাশুল নির্ধারণের জন্য স্বাধীন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেটে। সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্বাধীন ভাবে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। এর ফলে, রেলে যাত্রী ভাড়া ও পণ্য মাশুল ঠিক করার বিষয়টি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সংস্কারের লক্ষ্যে আরও একটি পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।
দিল্লি-মুম্বইয়ের মধ্যে একটি প্রিমিয়াম এসি স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়েছে, যে ট্রেনে চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে ততকাল বুকিংয়ের খরচ। রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে অন্তর্বর্তী রেল বাজেটে। রেলের পরিকাঠামো তৈরিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলির সঙ্গে খরচ ভাগ করে নেওয়ার কথাও। কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে ইতিমধ্যেই চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
রেল বাজেট পেশের দিন বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল লোকসভা। তেলেঙ্গানা ইস্যুতে বিক্ষোভের জেরে বাজেট বক্তৃতা শেষ করতে পারলেন না রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খাড়্গে। আজ সংসদে অন্তর্বর্তী রেল বাজেট পেশ করেন তিনি। রেলমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতা শুরু করতে না করতেই হৈ-হট্টোগোল শুরু করে দেন সীমান্ধ্রের সাংসদরা। অন্ধ্রভাগের বিরোধিতায় ওয়েলে নেমে আসেন চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে এস রাও, ডি পুরন্দেশ্বরী, কে সূর্যপ্রকাশ রেড্ডি এবং চিরঞ্জীবী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অন্য সাংসদরাও। তেলেঙ্গানা বিরোধী সাংসদদের তুমুল হৈ-হট্টগোলের জেরে বাজেট বক্তৃতা সম্পূর্ণ করতে পারেননি রেলমন্ত্রী। বাজেটের প্রথম দিকের কিছুটা অংশ পড়ার পর একেবারে শেষ অনুচ্ছেদে চলে যান তিনি। এরপরই, লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করে দেন স্পিকার।
রেল বাজেট পেশের দিনেও লোকসভায় বিক্ষোভে হতাশ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বাজেট পেশের সময় যেভাবে মন্ত্রী-সাংসদদের একাংশের নজিরবিহীন বিক্ষোভে পুরো বক্তৃতা দিতে পারেননি রেলমন্ত্রী, তাতে তাঁর হৃদয় রক্তাক্ত। সাংসদদের একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বারবার সংসদে শান্তি বজায় রাখার আবেদন সত্ত্বেও আজ যা হয়েছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখজনক।
অন্তর্বর্তী রেল বাজেটকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। তাঁর দাবি ইউপিএ সরকারের এভাবে বাজেট পেশ করার কোনও নৈতিক অধিকারই নেই। কারণ এই সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে। পরবর্তী সরকার কী নীতি নির্ধারণ করবে তা তারাই ঠিক করবে। এভাবে বাজেট অধিবেশন ভন্ডুল হয়ে যাওয়া গণতন্ত্রের পরিপন্থী। বললেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদি।
দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষ রেল বাজেটে কোনও দিশা নেই। সংসদের সময় নষ্ট করেছেন রেলমন্ত্রী। রেল বাজেটের সমালোচনায় বললেন বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ হুসেন।
সীমান্ধ্রের সাংসদদের বিক্ষোভে বাজেট শেষ করতে পারেননি রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খার্গে। বিক্ষোভে সামিল হন ক্যাবিনেট মন্ত্রীরাও। ঘটনার নিন্দা করেছেন সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত। কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামনে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। মন্তব্য মন্ত্রী কমলনাথের। রেল বাজেট পেশের দিনে লোকসভায় বিক্ষোভে হতাশ কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়া দত্ত।
শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দোষ দিলে হবে না। ধৈয্যের বাঁধ ভেঙেছে। তারই বহিঃ প্রকাশ ঘটেছে সংসদে। বললেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।