রণবীর সেনা-প্রধানের খুন ঘিরে উত্তপ্ত আরা, আক্রান্ত ডিজি

অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের গুলিতে খুন হলেন বিহারের কুখ্যাত রণবীর সেনার প্রধান ব্রহ্মেশ্বর সিং ওরফে মুখিয়াজি। ঘটনার পরই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় ভোজপুর জেলার সদর শহর আরায়। আগুন ধরানো হয় পুলিসের গাড়িতে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে উত্তেজিত রণবীর সেনা সমর্থকদের হাতে প্রহৃত হন বিহার পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল অভয় আনন্দ।

Updated By: Jun 1, 2012, 10:50 AM IST

অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের গুলিতে খুন হলেন রণবীর সেনার প্রধান ব্রহ্মেশ্বর সিং ওরফে মুখিয়াজি। আজ সকালে বিহারের ভোজপুর জেলার সদর শহর আরার লাগোয়া নওদা থানার অন্তর্গত কাটিরা মহল্লায় প্রাতঃভ্রমণ করার সময় জনা ছ'য়েক দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ব্রহ্মেশ্বর সিং। আততায়ীকে ধরতে পারা যায়নি। ঘটনার পরই প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় ভোজপুর জেলার সদর শহর আরায়। আগুন ধরানো হয় পুলিসের গাড়িতে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে উত্তেজিত রণবীর সেনা সমর্থকদের হাতে প্রহৃত হন বিহার পুলিসের ডিরেক্টর জেনারেল অভয় আনন্দ। প্রাথমিকভাবে ব্রহ্মেশ্বর সিং হত্যাকাণ্ডের পিছনে মাওবাদীদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রণবীর সেনার প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান ব্রহ্মেশ্বর সিং একাধিক হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে আরওয়াল জেলার লক্ষণপুর বাথ দলিত গণহত্যায় তিনি অভিযুক্ত ছিলেন। ২০০২ সালে বিহারের রাজধানী পাটনাকে থেকে ব্রাহ্মেশ্বরকে গ্রেফতার করা হয়। নিম্ন আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তও হন সশস্ত্র ভূমিহার ভূস্বামী বাহিনীর এই নেতা। ৯ বছর জেলে থাকার পর উচ্চ আদালতের রায়ে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে গত এপ্রিলে মুক্তি পান তিনি। জেহানাবাদ, ঔরঙ্গাবাদ এবং নওদায় দলিত হত্যাকাণ্ডেও তাঁর হাত ছিল বলে মনে করা হয়। বস্তুত, নব্বইয়ের দশক জুড়ে নকশালপন্থী সংগঠন এমসিসি এবং সিপিআই(এম এল, পার্টি ইউনিটি)-র সঙ্গে রণবীর সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ছিল বিহারের নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা। এরই জেরে ১৯৯৫ সালে নিষিদ্ধ করা হয় রণবীর সেনাকে।
এদিন মুখিয়াজির নিহত হওয়ার খবর পেয়েই রণবীর সেনার কর্মী সমর্থকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন জেলার পুলিস সুপার-সহ পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা। দ্রুত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে অনিতদূরের জেলা সদর আরাতে। পুলিসের গাডি়তে আগুন এবং ডিজি আক্রান্ত হওয়ার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এক বেলার কারফিউ জারি করতে হয় জেলা প্রশাসনকে। বিকেলে কারফিউ উঠে গেলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৪৪ ধারা বহাল রাখা হয়েছে ভোজপুরে।

.