প্লাস্টিকের বোতলের বিকল্প কী? বুধবারের মধ্যে কেন্দ্রকে জানাতে হবে ঠান্ডা পানীয়র সংস্থাগুলিকে
সংস্থাগুলিকে ‘সিঙ্গেল ইউজ’ প্লাস্টিকের বোতলের উপযুক্ত বিকল্প বুধবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান...
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২ অক্টোবর থেকে ছয় ধরনের প্লাস্টিকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ হতে চলেছে গোটা দেশে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে ২০২২ সালের মধ্যে ভারতকে ‘প্লাস্টিকমুক্ত দেশ’ হিসাবে গড়ার লক্ষ্যে আহ্বান জানিয়েছে। সেই পদক্ষেপকে কার্যকর করতে এ বার কড়া নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান। কোকা কোলা, পেপসির মতো পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে ‘সিঙ্গেল ইউজ’ প্লাস্টিকের বোতলের উপযুক্ত বিকল্প কী, তা বুধবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সংস্থাগুলির মতামত জানার পরই এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
সোমবার বিভিন্ন নামী পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাম বিলাস পাসোয়ান। এই বৈঠকে তিনি জানান, কী ভাবে প্লাস্টিক ব্যান করা হবে তা পরিকল্পনার জন্য ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই দুষণের ফলে শুধু মানুষেরই নয়, পশু-পাখিদেরও সমস্যা হচ্ছে। ইদানীং গবাদি পশুর পেটেও প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের দ্রব্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাই প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের পরিবর্তে তার বিকল্প ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে। সোমবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব এ কে শ্রীবাস্তব, ‘অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার ইন্ডাস্ট্রি’-র সেক্রেটারি বেহরম মেহতা-সহ এসএসএআই, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডএফ ও আইআরসিটিসি-র শীর্ষ কর্তারা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতে ইমরানের দলের প্রাক্তন বিধায়ক, রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন বলদেব সিং
বৈঠকের পর ‘অল ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার ইন্ডাস্ট্রি’-র সেক্রেটারি বেহরম মেহতা জানান, বর্তমানে জলের বোতল তৈরি হয় পলিথিলিন টেরিপথ্যালেট দিয়ে যা ৯২ শতাংশ পর্যন্ত পুনর্ব্যবহার (রিসাইকল) করা সম্ভব যা ১০০ শতাংশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর সঙ্গেই বেহরম মেহতা জানান, দেশের প্রায় ৭ কোটি মানুষ প্লাস্টিক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। তাই নিষিদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় ৭৫০ লক্ষ কোটি টাকার শিল্প গুটিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। বেহরম মেহতার মত, দেশের অর্থনীতির উপর এর গুরুতর প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, প্রভাব পড়বে দেশের কর্মসংস্থানের উপরেও। যদিও প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করলে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত লোকেদের কর্মসংস্থানের সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী। তাঁর মতে, প্লাস্টিকের যে বিকল্প মাধ্যমগুলি চালু হবে সেখানেও প্রচুর পরিমাণ কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হবে। ফলে বেকারত্ব সমস্যা বাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। তার পর সিদ্ধান্ত নেবে বিশেষ পরিকল্পনা কমিটি। এই মতামত প্রধানমন্ত্রীকেও জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রাম বিলাস পাসোয়ান।