Ram Mandir inauguration: রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা! মাছিও গলতে পারবে না অযোধ্যায়, পাঁচস্তরীয় সুরক্ষা মোদীর...
Ram Mandir inauguration: ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকছে অযোধ্যায়। গোটা মন্দিরনগরী জুড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে উত্তর প্রদেশ পুলিস, সিআরপিএফ, স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ফোর্স, প্রাদেশিক আর্মড কনস্টাবুলারি। আর শোনা যাচ্ছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য অযোধ্যায় থাকছে পাঁচস্তরীয় নিরাপত্তা। তাঁর জন্য বরাদ্দ স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ তথা এসপিজি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভক্তিধামে পরিণত অযোধ্যানগরী। সারা দেশ থেকে, বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ আসছেন সেখানে। ২২ জানুয়ারি সেখানে মহাযজ্ঞ। মহাসম্মিলন। আসছেন প্রধানমন্ত্রী-সহ হেভিওয়েট সব অতিথি। ফলে সেদিন তো বটেই, আগে থেকেই অযোধ্যানরীতে থাকা জরুরি কড়া নিরাপত্তা। সেই মতো ব্যবস্থাও করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই পর্ব উপলক্ষে শোনা যাচ্ছে, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকছে অযোধ্যায়। গোটা মন্দিরনগরী জুড়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে উত্তর প্রদেশ পুলিস, সিআরপিএফ, স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ফোর্স, প্রাদেশিক আর্মড কনস্টাবুলারি। থাকছে অ্যান্টি-টেরর ব্যবস্থাপনা, আর শোনা যাচ্ছে, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য অযোধ্যায় থাকছে পাঁচস্তরীয় নিরাপত্তা।
সিআরপিএফ ট্রুপ থাকবে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহের দায়িত্বে। গত সহস্রাব্দের নব্বইয়ের দশক থেকেই রামজন্মভূমিতে নিরাপত্তা বহাল। স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ফোর্স বা এসএসএফ প্রধান বিবেক শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এছাড়াও অযোধ্যায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন উত্তর প্রদেশ পুলিসের ১৪০০ রক্ষী। প্রাদেশিক আর্মড কনস্টাবুলারি বা 'প্যাক'কে রাখা হবে রেড জোন তথা মন্দিরের বাইরে। রেড জোনের বাইরে ইয়েলো জোন, সেখানেও থাকবে 'প্যাক'। সঙ্গে উত্তর প্রদেশের সিভিল পুলিস। এছাড়া গোটা অযোধ্যা নগরী জুড়ে থাকছে উত্তর প্রদেশ পুলিস।
শুক্রবার ৪ ঘণ্টা ধরে পুজোপাঠের পরে অযোধ্যার মহাযজ্ঞ শেষে রামমন্দিরের গর্ভগৃহে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে রামলালাকে। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। ১৬ জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রামমন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান। ১৬ জানুয়ারি হয়েছে দশবিধ স্নান, বিষ্ণুপূজা, সরযূতীরে গোদান। পরদিন ১৭ জানুয়ারি রামলালার মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা অযোধ্যায় পৌঁছেছে। তাঁদের সঙ্গে ছিল সরযূর জলে পূর্ণ কলস। ১৮ জানুয়ারি গণেশ পুজো দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠার মূল অংশের আচারও হয়েছে। ছিল ব্রাহ্মণবরণ বা বাস্তুপূজার মতো অনুষ্ঠান। ১৯ জানুয়ারি নবগ্রহ প্রতিষ্ঠা, হয় হোমও। ২০ জানুয়ারি সরযূর জলে মন্দির ধোয়া, পরে অন্নাধিবাস। আগামীকাল, ২১ জানুয়ারি রামলালাকে ১২৫ কলসজলে স্নান করানো হবে। ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ১টা-র মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)