ফাঁসি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজীব ঘাতকদের আবেদন গেল সুপ্রিম কোর্টে
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত তিন এলটিটিই সদস্যের দায়ের করা মামলার শুনানি এবার শীর্ষ আদালতে। ফাঁসির সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুরুগান, সান্থন ও পেরারিভালানের মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের করা মামলাটি এদিন বিবেচনার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে শীর্ষ আদালত।
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত তিন এলটিটিই সদস্যের দায়ের করা মামলার শুনানি এবার শীর্ষ আদালতে। ফাঁসির সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুরুগান, সান্থন ও পেরারিভালানের মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের করা মামলাটি এদিন বিবেচনার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে শীর্ষ আদালত।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুরপ শ্রীপেরুমপুদুরে একটি জনসভায় তামিল টাইগারদের আত্মঘাতী হামলায় নিহত হয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। ১৯৯৯ সালে এই হত্যাকাণ্ডের চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে এলটিটিই`র সদস্য শ্রীলঙ্কার নাগরিক মুরুগান ও সান্থন এবং তামিলনাড়ুর পেরারিভালানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে সুপ্রিম কোর্ট। মুরুগানের স্ত্রী নলিনীকে প্রথমে চরম দণ্ড দেওয়া হলেও পরে তা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই সাংবিধানিক বিধি মেনে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান তিন রাজীব-ঘাতক। ২০১১ সালের ১২ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল সেই প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন।
এর পরই রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে ফাঁসি রদের আর্জি জানান মুরুগান, সান্থন ও পেরারিভালান। কেন দীর্ঘ ১১ বছর তাঁদের আর্জি ফেলে রাখা হল, এই প্রশ্ন তুলে মুরুগানদের দাবি, সিদ্ধান্ত নিতে রাষ্ট্রপতির এই `অপরিমিত এবং অযৌক্তিক বিলম্ব` অসাংবিধানিক। ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় স্বাধীনতা এবং জীবনের অধিকার সুরক্ষিত রাখার যে কথা বলা হয়েছে, প্রাণভিক্ষার আবেদনের সিদ্ধান্ত ১১ বছর ঝুলিয়ে রেখে রাষ্ট্রপতি তা লঙ্ঘন করেছেন বলেও দাবি করা হয় মাদ্রাজ হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায়। প্রসঙ্গত, এর আগে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়েই বলা হয়, ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সংবিধান-বর্ণিত `জীবনের অধিকার ও স্বাধীনতা`রই অংশ। আর তাই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে অযৌক্তিক দেরি হলে আদালতে যাওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ৩ রাজীব-ঘাতকের ফাঁসির নির্ঘণ্ট স্থির হলেও পরে তা স্থগিত করে দেয় মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এবার সেই ফাঁসি মকুবের আবেদন গেল সুপ্রিম কোর্টে।