ফের ৬ পাতার চিঠি, রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার গেহলটের

গেহলট রাজ্যপালের সক্রিয়তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, দেশের ৭০ বছরের ইতিহাসে এরকম প্রথম হল

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Jul 27, 2020, 06:22 PM IST
ফের ৬ পাতার চিঠি, রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার গেহলটের
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: সচিন পাইলট-সহ কংগ্রেসের ১৯ বিধায়ক বিদ্রোহী। বসপা-র ৬ বিধায়কের ওপরে হুইপ জারি করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বহেনজি মায়াবতী। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাজস্থান বিধানসভায় তাঁর পক্ষে ১০১ জন বিধায়ক রয়েছেন তা কি দেখাতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট? এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির। তার ওপরে চাপ বাড়িয়েছে রাজ্যপালের চিঠি।

আরও পড়ুন-১৩০ কোটি মানুষের জন্য করোনা প্রতিষেধক মজুত করতে 'হিমঘর' তৈরির পরিকল্পনা কেন্দ্রের!

বিধানসভার অধিবেশন ডাকা নিয়ে রাজ্যপাল কলরাচজ মিশ্র একটি ৬ পাতার ''লাভ লেটার" দিয়েছেন গেহলটকে। সেখানে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকার বিরুদ্ধে না বললেও ৩টি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সরাসরি যে প্রশ্নটা তিনি করেছেন সেটি হল, রাজ্য সরকার কি এই অধিবেশনে আস্থাভোট করাতে চায়? এনিয়ে বেজায় চটেছেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছেও অভিযোগ করেছেন।

সোমবার গেহলট রাজ্যপালের সক্রিয়তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, দেশের ৭০ বছরের ইতিহাসে এরকম প্রথম হল। রাষ্ট্রপতির  কাছে তিনি এনিয়ে হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন। কারণ বিধানসভার অধিবেশ ডাকা মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক অধিকার। তাতে বাধা দিচ্ছেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র।

রাষ্ট্রপতি শুধু নয়, প্রধানমন্ত্রীর কাছেও রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে অভিযোগ করেছেন গেহলট। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গতকালই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে কথা বলেছি। রাজ্যপাল ফের ৬ পাতার একটি ''লাভ লেটার" পাঠিয়েছেন সরকারকে। বিধানসভার অধিবেশন ডাকার ক্ষেত্রে অনুমতি দিতে রাজ্যপাল বাধ্য।

আরও পড়ুন-ইদের উপহার! এক-দুটো নয়, বাংলাদেশকে ১০টি রেল ইঞ্জিন পাঠাল ভারত

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র বিধানসভা অভিবেশন ডাকার অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। এনিয়ে তিনি সরকারকে ৬টি প্রশ্ন করেন। কারণ সরকারের অনুরোধে অধিবেশন ডাকার কোনও কারণ জানানো হয়নি। পাল্টা চিঠিতে গেহলট সরকার করোনা নিয়ে আলোচনা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হবে বলে জানায়। তার পরেও সরকারকে ৩টি প্রশ্ন করেছেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সরকার এই অধিবেশনে আস্থাভোট করাতে চায় কিনা, দেশের এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া যায় কিনা এবং করোনার এই পরিস্থিতিতে বিধায়করা কীভাবে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন? এতেই পাল্টা চাপে পড়ে গিয়েছেন গেহলট।

.