‘উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে হারের আশঙ্কায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে হাতিয়ার করেন মোদী’
নির্বাচনী প্রচারে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচনী প্রচারে ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের অঙ্গ হিসেব শনিবার উদয়পুরে এক ছোট অনুষ্ঠানে আয়োজন করে কংগ্রেস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিশিষ্ট কিছু শিল্পপতি ও বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাদের সামনে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ব্যবহার করেছে মোদী সরকার।
আরও পড়ুন-সরকারি স্কুলে চাকরির টোপ, ১৫ লাখ টাকার প্রতারণা!
তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মোদী মনমোহন সরকারের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘মোদী সরকারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো মনমোহনজিও ৩ বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর আমলে সেনা আধিকারিকরা এসে বলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা প্রয়োজন এবং গোটা বিষয়টি গোপন রাখতে হবে। তখন মনমোহন তার অনুমতি দেন।‘ তবে করে কোথায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয় তার কোনও ব্যাখ্যা দেননি কংগ্রেস সভাপতি।
Mr. Modi reached into the Army's domain and shaped their surgical strike. He turned it into a political asset during UP elections, when it actually was a military decision: Congress President @RahulGandhi #कांग्रेस_बदलेगी_राजस्थान
— Congress (@INCIndia) December 1, 2018
LIVE: CP @RahulGandhi's Interaction with Business Community & Professionals in Udaipur. #कांग्रेस_बदलेगी_राजस्थान https://t.co/ncUvzHjl1G
— Congress (@INCIndia) December 1, 2018
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে উরির সেনা ক্যাম্পে পাক জঙ্গিদের হামলার পরই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নেয় সেনা। তাকে সবুজ সংকেত দেয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বহু জঙ্গি ঘাঁটি ও লঞ্চপ্যাড। মারা যায় কমপক্ষে ৪০ জঙ্গি। পাকিস্তান প্রথমে তা স্বীকার করতে না চাইলেও পরে তা গিলতে বাধ্য হয়।
রাহুল গান্ধী এদিন বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদীজি আসলে সেনা বাহিনীর এক্তিয়ার হস্তক্ষেপ করেছিলেন। সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো একটি গোপন বিষয়কে তিনি রাজনৈতিক ফয়দা তোলার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন। সেনার গোপন এই পদক্ষেপকে তিনি গোপন রাখতে চাননি। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে হারের আশঙ্কা ছিল বিজেপির। তাই সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেন মোদী।‘
আরও পড়ুন-প্রয়াত ৪১তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশ
কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে বহুদিন ধরেই নিশানা করে আসছে। তবে সেভাবে তার বিজেপির ওপরে দাঁত ফোটাতে পারেনি। এনিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের অবস্থান একেবারেই সাফ। তাঁর কথায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। দুনিয়া এবার ভারতকে অন্য দৃষ্টিতে দেখবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েলের মতো ভারতও যে তাদের দেশকে রক্ষা করতে পারে তা এবার গোটা বিশ্ব বুঝবে।