রেলের ডিগবাজি, মন্ত্রীর কথায় রাতারাতি লাভজনক বুলেট রুট
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুলেট ট্রেন প্রকল্পের অর্থনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে রাতারাতি ভোলবদল রেলের। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের দাবি, রেলের সমীক্ষা বলছে, ওই রুটে টিকিটের চাহিদা ১০০ শতাংশেরও বেশি।
বুধবার তথ্যের অধিকার আইনের ভিত্তিতে প্রকাশিত এক নথিতে জানা যায় মুম্বই-আমদাবাদ রুটে ট্রেনে ৪০ শতাংশ আসনই ফাঁকা থাকে। লোকসানে চলছে ওই রুটের একাধিক ট্রেন। এমনকী শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে ৫০ শতাংশের বেশি আসন ভরে না। আরটিআইয়ের আবেদনকারী অনিল গলগলি দাবি করেন, যে রুটে এখনই রেল লোকসানে ট্রেন চালাচ্ছে সেখানে বুলেট ট্রেন লাভজনক হবে কী করে?
প্রধানমন্ত্রীর 'স্বপ্নের প্রকল্প'-এর আর্থনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ময়দানে নামলেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ক্ষতির আশঙ্কা নেই। রেলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা অনুসারে এই রুটে বুলেট ট্রেনের টিকিটের চাহিদা ১০০ শতাংশেরও বেশি।
যদিও অনিল গলগলির আবেদনের ভিত্তিতে রেলের প্রকাশিত তথ্য বলছে, মুম্বই-আমদাবাদ রুটে ট্রেনে ৪০ শতাংশের বেশি আসন খালি থাকে। এই বাবদ গত জুলাই - সেপ্টেম্বরে ৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে রেলের। ওদিকে রেলমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর এক বিবৃতি জারি করে পশ্চিম রেল জানিয়েছে, দেশের অন্যতম ব্যস্ত রুট এটি। আরও পড়ুন- ৪০ শতাংশ আসন খালি! লাভজনক নয় বুলেট ট্রেন রুট, প্রকাশ আরটিআইয়ে