জবাবি ভাষণে ভাড়াবৃদ্ধি প্রত্যাহার রেলমন্ত্রীর
লোকসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর রেলবাজেট পেশের দিনই নন্দীগ্রামে কৃষক দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রেল বাজেটের জবাবি ভাষণে তৃণমূল নেত্রীর সেই নির্দেশই শিরোধার্য করলেন অপসারিত দীনেশের উত্তরসূরী মুকুল রায়।
লোকসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর রেলবাজেট পেশের দিনই নন্দীগ্রামে কৃষক দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রেল বাজেটের জবাবি ভাষণে তৃণমূল নেত্রীর সেই নির্দেশই শিরোধার্য করলেন অপসারিত দীনেশের উত্তরসূরী মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটার কথা জানিয়ে বাতানুকুল প্রথম শ্রেণি এবং এসি টু`টায়ার ছাড়া রেলের সমস্ত স্তরেই পূর্বসূরী দীনেশ ত্রিবেদীর প্রস্তাব করা বর্ধিত যাত্রীভাড়া প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। রেলের বেহাল আর্থিক দশার জন্য বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার না করার ব্যাপারে যথেষ্ট চাপ ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু তা উপেক্ষা করে মুকুল রায়ের এই ঘোষণাকে রাজনৈতিক জয় বলেই মনে করছে তৃণমূল শিবির।
বর্ধিত ভাড়া বৃদ্ধির পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি এদিন রেলের বিভিন্ন শাখায় শূন্যপদগুলি পূরণের উপর জোর দিয়ে কার্যত নেত্রীর দেখানো জনমোহিনী রাস্তাতেই হাঁটতে চেয়েছেন মুকুল রায়। চেয়েছেন, রেলে চাকরির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে যুবসম্প্রদায়কে আকৃষ্ট করতে। পাশাপাশি প্রহরিবিহীন লেভেল ক্রসিং`গুলিকে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা এবং রেলের নিরাপত্তা ও যাত্রীসুরক্ষা বৃদ্ধির কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। কিন্তু শেষ বিচারে ঘুরে ফিরে সেই অমোঘ প্রশ্নটাই উঠে আসছে রাজনৈতিক মহল- ভাড়া না বাড়িয়ে `আইসিইউ-তে চলে যাওয়া` রেলের উন্নয়নের জন্য বিপুল অর্থের সংস্থান কী ভাবে করবেন মুকুল রায়? তাঁর নেত্রীর দেখানো বিকল্প আয়ের দিশানির্দেশিকায় যে আদৌ ফল মেলেনি, রেলের `অপারেটিং রেশিও`র উর্ধ্বমুখী গতিই তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।