মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে উন্নয়নকেই হাতিয়ার করলেন রাহুল গান্ধী
উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় কে এগিয়ে? বিজেপি না কংগ্রেস? মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সেই তুলনাতেই নিজের ভাষণের সিংহভাগ ভরিয়ে রাখলেন রাহুল গান্ধী। কমলনাথ, দিগ্বিজয় সিং আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে এক মঞ্চে বসিয়ে ধামাচাপা দিলেন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বও।
উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় কে এগিয়ে? বিজেপি না কংগ্রেস? মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সেই তুলনাতেই নিজের ভাষণের সিংহভাগ ভরিয়ে রাখলেন রাহুল গান্ধী। কমলনাথ, দিগ্বিজয় সিং আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে এক মঞ্চে বসিয়ে ধামাচাপা দিলেন দলের অন্তর্দ্বন্দ্বও।
দুর্নীতির কালি কোনওভাবেই গা থেকে মুছে ফেলা যাচ্ছে না। তাই এবার উন্নয়নকেই হাতিয়ার করতে উঠেপড়ে লেগে গেল কংগ্রেস। আর মধ্যপ্রদেশের মাটিতে টেস্ট ফায়ারটা সেরে নিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, সামাজিকক্ষেত্রের দিকে না তাকিয়ে শুধু সড়ক উন্নয়নেই চোখ ধাঁধাতে চাইছে বিজেপি।
শাহদুল আর গোয়ালিয়রে পরপর জনসভা। আর এই দুই জনসভাতেই দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে পলেস্তারা লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে গেলেন সোনিয়া-পুত্র। তাঁর ব্রিগেডের অন্যতম সদস্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকেই যে মধ্যপ্রদেশের মাটিতে তিনি এগিয়ে রাখছেন, তা ভালোমতো বুঝিয়ে দিলেন রাহুল। সেটাও কমলনাথ আর দিগ্বিজয় সিংকে পাশে বসিয়েই।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের চোরাস্রোতে কিছুটা হলেও গতি হারিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। যার পিছনে অনেকটাই হাত রয়েছে ছিন্দওয়ারার কংগ্রেস নেতা কমলনাথের। মধ্যপ্রদেশে দলের লাগাম হাতে রাখার দৌড়ে এগিয়ে দিগ্বিজয় সিং-ও। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই দুই প্রবীণ নেতাকে মঞ্চে রেখেই নিজের ব্রিগেডের হয়ে সুর চড়ালেন রাহুল। বার্তা স্পষ্ট। মেটাতে হবে কোন্দল। সামনের সারিতে থাকবে নবীন প্রজন্মই। কিন্তু, এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কি শিবরাজ সিং চৌহান জমানায় দাঁড়ি টানবেন মধ্যপ্রদেশের মানুষ? উত্তরটা তোলা রইল পঁচিশে নভেম্বরের জন্য।