'জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ', সাংসদ বা বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা
ফৌজদারী মামলায় কোনও ব্যক্তির সাজা হলে রায় কার্যকর হওয়ার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি থাকার অধিকার তিনি হারাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ইউপিএ সরকার একটি অধ্যাদেশ এনে কারাদণ্ডে দণ্ডিত জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের নির্দোষ প্রমাণিত করার জন্য তিন মাস সময় দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১ এর ধারা ৮(৩) এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন দায়ের করা হয়েছে যার অধীনে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খোয়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে মানহানি মামলায় দু'বছর জেলের সাজা হতেই খারিজ হল রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। শুক্রবার তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
আরও পড়ুন, Bangalore Tenant: ঘরভাড়ার জন্যও দিতে হয় কঠিন ইন্টারভিউ! আসল ঘটনা জানলে অবাক হবেন...
প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন নিয়ে ২০১৩-য় গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। ফৌজদারী মামলায় কোনও ব্যক্তির সাজা হলে রায় কার্যকর হওয়ার দিন থেকেই জনপ্রতিনিধি থাকার অধিকার তিনি হারাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে ইউপিএ সরকার একটি অধ্যাদেশ এনে কারাদণ্ডে দণ্ডিত জনপ্রতিনিধিদের নিজেদের নির্দোষ প্রমাণিত করার জন্য তিন মাস সময় দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল।
তবে তৎকালীন সময়ে রাহুল গান্ধী সেই অধ্যাদেশ ছিঁড়ে নিজের দলেরই বিরোধিতা করেছিলেন। পরে তাঁর চাপে সেই অধ্যাদেশ ফিরিয়ে নিয়েছিল ইউপিএ সরকার। এখন সেই আইনেই রাহুল গান্ধী নিজে সাংসদপদ হারালেন।তবে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে এই শুনানির বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন জমা পড়েছে। কেরলের এক সমাজকর্মী আভা মুরলীধরন এই আবেদনটি দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন, Rahul Gandhi: 'আদানির সংস্থায় ২০ হাজার কোটি টাকা কার বিনিয়োগ?', রাহুলের নিশানায় মোদী