চৌকিদারকে চুরি করতে দেব না, সিবিআই দফতরে বিক্ষোভে মোদীকে নিশানা রাহুলের

সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে সরানোর জেরে কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াইয়ে রাস্তায় নামলেন কংগ্রসে সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার তিনি বিশাল মিছিল নিয়ে সিবিআই কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন। পাশাপাশি লখনউ, মুম্বই, তেলেঙ্গানা, চণ্ডীগড়ে সিবিআই কার্যালয়ে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রসে সমর্থকরা।

Updated By: Oct 26, 2018, 02:21 PM IST
চৌকিদারকে চুরি করতে দেব না, সিবিআই দফতরে বিক্ষোভে মোদীকে নিশানা রাহুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: সিবিআই প্রধান অলোক বর্মাকে সরানোর জেরে কেন্দ্রের সঙ্গে লড়াইয়ে রাস্তায় নামলেন কংগ্রসে সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার তিনি বিশাল মিছিল নিয়ে সিবিআই কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন। পাশাপাশি লখনউ, মুম্বই, তেলেঙ্গানা, চণ্ডীগড়ে সিবিআই কার্যালয়ে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রসে সমর্থকরা।

আরও পড়ুন-ফের ডানা ছাঁটা হল শোভনের, বড় দায়িত্ব পেলেন ববি

শুক্রবার সমর্থকদের নিয়ে দিল্লির দায়াল সিং কলেজ থেকে লোধি রোডে সিবিআই কার্যালয়ে যান রাহুল। সেখানে আগে থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল আপ, তৃণমূল, সিপিএম সমর্থকরা। সিবিআই সদর দফতরের মুখে কংগ্রেস সমর্থকদের আটক দেয় পুলিস। বেশকিছু বিক্ষোভকারীকে গাড়িতে তোলা হয়। গ্রেফতার বরণ করেন রাহুল। তাঁকে লোধি রোড থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিন বিক্ষোভ সমাবেশে রাহুল বলেন, দেশের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তা সে সিবিআই হোক বা নির্বাচন কমিশন। এর জন্যই আমরা বলি দেশের চৌকিদার চোর। উনি অনিল আম্বানির পকেটে ৩০,০০০ কোটি টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। কংগ্রেস চৌকিদারকে চুরি করতে দেব না। সব বিরোধীরাও তা করতে দেব না।

আরও পড়ুন-দিঘা সৈকতে সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে পর্যটকের মর্মান্তিক পরিণতি

উল্লেখ্য, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনকে জানিয়ে দেয় আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই প্রধান অলোক বর্মা ও তার ডেপুটি রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে। এরা দুজনেই একে অন্যের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। তাও আবার একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। ওই অভিযোগ ওযার পরই গত বুধবার অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র।

এদিকে অলোক বর্মার অনুপস্থিতিতে অন্তবর্তিকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এন নাগেশ্বর রাওকে। তবে আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, নাগেশ্বর কোনও বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। শুধুমাত্র রুটিন কাজ করতে পারবেন। আগামী ১২ দিন তিনি যেসব সিদ্ধান্ত নেবেন তার তালিকা আদালতে দিতে হবে।

.