মনমোহিনী বার্তা: রাহুল কংগ্রেসের 'ডার্লিং', সবার নেতা হয়ে উঠছনে 'যুবরাজ'!
গত সপ্তাহে গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করে বলেন, "নবসারিতে বেশ কয়েকদিন আগে, আমি বলেছিলাম তিনটি নির্বাচন হতে চলেছে এই মুহূর্তে। উত্তরপ্রদেশে পুরনিগম নির্বাচন, গুজরাট নির্বাচন এবং কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গান্ধী পরিবারের 'যুবরাজ' রাহুল গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসায় ডঃ মনমোহন সিং। রাহুলের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, "তৃণমূল স্তর থেকে হাই কমান্ড, পুরুষ থেকে মহিলা- সবারই 'ডার্লিং' হয়ে উঠেছেন রাহুল।" যদিও রাহুলের কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পিছনে অমত রয়েছে অনেকেরই। অনেকেই কটাক্ষের সুরে বলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী তো দূর, কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতাও নাকি রাহুলের নেই! রাহুল নিয়ে ধন্দে বিভিন্ন মহল। এমনকী কংগ্রেস অন্দরেও রাহুলর 'অপরিপক্ক রাজনীতি' নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি । সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুলের ভাবমূর্তি-কে যেভাবে খোরাক করে তুলেছিল বিজেপি, তাতে হস্তক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশনও। তবে রাহুল গান্ধী নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মনমোহন সিং।
আরও পড়ুন- সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন রাহুল, পারফরম্যান্স ছাড়াই প্রোমোশন কটাক্ষ বিজেপির
এনডিটিভি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে মনমোহন বলেন, "বিশেষ মুহূর্তের দিন আজ। রাহুল ধীরে ধীরে কংগ্রেসের সবার কাছে প্রিয় নেতা হয়ে উঠছেন। দেশ এবং দলের জন্য তাঁর একনিষ্ঠতা আরও একধাপ উত্তীর্ণ হল। "
এদিন মনমোহনের 'ডার্লিং' ছাড়াও 'ম্যারাথন রানার', 'অসাধারণ প্রধানমন্ত্রী' এমন বিশেষণ বেশ সযত্নে পকেটে পুরেছেন 'ভাবী' কংগ্রেস সভাপতি। এখনও পর্যন্ত খবর পাওয়া অনুযায়ী, 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়' জয়ের পথে রাহুল। তবে, রাহুলের এই জয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপি সহ-সভাপতি ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি বলেন বিনা পারফরম্যান্সেই প্রোমোশন রাহুলের।
আরও পড়ুন- এনকাউন্টারে উত্তপ্ত উপত্যকা, পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঘিরে গুলি চালাচ্ছে সেনা
গত সপ্তাহে গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী কটাক্ষ করে বলেন, "নবসারিতে বেশ কয়েকদিন আগে, আমি বলেছিলাম তিনটি নির্বাচন হতে চলেছে এই মুহূর্তে। উত্তরপ্রদেশে পুরনিগম নির্বাচন, গুজরাট নির্বাচন এবং কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। প্রথম দুই নির্বাচনে বিজেপি জিতবে এবং শেষের নির্বাচনে একটি পরিবার জিতবে।" 'পরিবারতন্ত্র' নিয়ে শুধু বিজেপিই গা-গরম করেনি, কংগ্রেসের অভ্যন্তরেও সরগরম হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা শেহজাদ কুনওয়ালা রাহুলের ভূমিকা এবং 'পরিবারতন্ত্র' নিয়ে মুখ খোলেন, যা নিয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে কংগ্রেস হাইকমান্ড। কুনওয়ালার মন্তব্যকে সমালোচনা করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া স্পষ্ট করেন, সভাপতি পদে নির্বাচনে মহিলা-পুরুষ যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেন। গণতান্ত্রিকভাবে হচ্ছে সভাপতি নির্বাচন। এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তিনি বলেন, "এটি সম্পূর্ণ দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তাতে নাক না গলানোই ভাল।"