মমতার দাবি মানতে হলে পঞ্জাবকেও সুদ মকুব: জয়রাম
পশ্চিমবঙ্গ যদি ঋণের সুদ স্থগিতের সুবিধা পায়, তাহলে তা পেতে পারে পঞ্জাবও। শনিবার চণ্ডীগড়ে গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে জয়রাম রমেশ একথা বলেন। কারণ কেরালার মতো পঞ্জাবও দেনায় জর্জরিত। সুদ মকুবের পাশাপাশি এদিন পঞ্জাবের জন্য একাধিক প্রকল্পও ঘোষণা করেন জয়রাম রমেশ।
পশ্চিমবঙ্গ যদি ঋণের সুদ স্থগিতের সুবিধা পায়, তাহলে তা পেতে পারে পঞ্জাবও। শনিবার চণ্ডীগড়ে গ্রামোন্নয়ন সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে জয়রাম রমেশ একথা বলেন। কারণ কেরালার মতো পঞ্জাবও দেনায় জর্জরিত। সুদ মকুবের পাশাপাশি এদিন পঞ্জাবের জন্য একাধিক প্রকল্পও ঘোষণা করেন জয়রাম রমেশ।
ইতিমধ্যেই, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা এবং পঞ্জাবকে ঋণগ্রস্ত রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন। সুদ স্থগিতের আর্জি জানিয়ে বারবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। শনিবার সম্মেলন চলাকালীন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদলের এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে জয়রাম রমেশ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি আদায়ে সফল হলে তার সুফল ভোগ করবে পঞ্জাবও। সেইসঙ্গেই পঞ্জাবের আরও বেশি সংখ্যক গ্রামে নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতায় আনার অর্থাত্ গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতে শৌচাগার গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।
হরিয়ানায়, যেখানে ৬৫০০ টি গ্রামের মধ্য ১৫০০ গ্রামেই প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে, সেখানে পঞ্জাবের ক্ষেত্রে ১২, ৫০০ গ্রামের মধ্যে মাত্র ১৭০ টি গ্রামকে এই তালিকাভুক্ত করা যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন জানান, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের নির্ধারিত মোট ৯৯ হাজার কোটি টাকার বাজেটের ১ শতাংশ অর্থাত্, প্রায় ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে দেশের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির নিজেদের সুবিধার্থে ব্যয় করার জন্য। সেক্ষেত্রে দেশের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ হবে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। প্রতিটি গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পই ক্যাগ এর আওতাধীন হবে বলেও এদিন আশ্বাস দেন তিনি।
এর পাশাপাশি, গ্রামের বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের জন্য পৃথক-পৃথক খাতে ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব দেন জয়রাম রমেশ। এর ফলে অর্থমন্ত্রকের সাহায্য ছাড়াই মাসের প্রথমে বরাদ্দ ভাতা হাতে পাবেন তাঁরা। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর প্রস্তাবে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল।