সংসদে ফটো সেশন, জানতেনই না অর্থমন্ত্রী
রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তি উত্সবের সমালোচনায় মুখর হলেন মহাশ্বেতা দেবী। প্রবীণ সাহিত্যিক মনে করেন, রাজ্যে উন্নয়নের অনেক কাজ বাকি। ঘটা করে উত্সব পালন না-করে সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণের ওপরেই জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রাজ্য সরকারের বর্ষপূর্তি উত্সবের সমালোচনায় মুখর হলেন মহাশ্বেতা দেবী। প্রবীণ সাহিত্যিক মনে করেন, রাজ্যে উন্নয়নের অনেক কাজ বাকি। ঘটা করে উত্সব পালন না-করে সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণের ওপরেই জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের হকার নীতিরও সমালোচনা করেছেন মহাশ্বেতা দেবী। গত বছর ২১ জুলাই ব্রিগেডে মহাশ্বেতা দেবীর পায়ে হাত দিয়ে নতুন সরকারের পথ চলার সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃষ্টি ভেজা মঞ্চে বসে সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর দরাজ প্রশংসা করেছিলেন মহাশ্বেতা দেবী।
কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই দুজনের সম্পর্কে ছন্দপতন। এপিডিআরের সভার অনুমতি না-মেলায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এক সময়ের পরিবর্তনপন্থী বিদ্বজনেরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সমালোচনায় সেদিন পুরোভাগে ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী।
এরপর থেকে সময় যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে দুজনের মধ্যে দূরত্ব। জঙ্গলমহল থেকে যৌথবাহিনী প্রত্যাহার সহ সংবাদপত্রে ফতোয়ার মতো একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মহাশ্বেতা দেবী। ঠিক তেমনই হলেন মঙ্গলবার। হকার সংগ্রাম কমিটির একটি অনুষ্ঠানে প্রবীণ লেখিকা জানালেন, এক বছর পূর্তি ঘিরে সরকার যে উত্সবের আয়োজন করেছে তার কোনও প্রয়োজন ছিল না। রাজ্য সরকারের হকারনীতিরও সমালোচনা করেছেন মহাশ্বেতা দেবী।