Gujarat Morbi bridge tragedy: মন পড়ে রয়েছে মোরবিতে! মঙ্গলেই বিপর্যয়স্থলে মোদী
Gujarat Morbi bridge tragedy: দুর্ঘটনার পর পরই গুজরাট সরকার নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের ৪ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে মোদীও নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবারই মোরবি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ১ নভেম্বর দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে গুজরাটেই রয়েছেন মোদী। মোদীর সফরকালের মাঝেই মোরবিতে মচ্ছু নদীর উপর কেবল সেতু ছিঁড়ে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ১৪১ জন। সেই ঘটনায় কেভাদিয়ায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষণ দেওয়ার সময়ই মোদী বলেন, 'আমার মন মোরবিতে রয়েছে। আমার সহানুভূতি রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে। তিনি আরও বলেন দুর্যোগে দেশ ঐক্যবদ্ধ।' মোরবিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন তিনি।
মোদীর কথায়, ‘আমি এখানে একতা নগরে আছি কিন্তু মোরবির ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আমার মন পড়ে আছে। দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সরকার সবরকমভাবে নিহতদের পরিবারের পাশে আছে। গত সন্ধ্যা থেকে গুজরাট সরকার ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গুজরাট সরকারকে সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে। এনডিআরএফ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতালে অবিরাম আহতদের চিকিৎসা চলছে।' এরপরই মঙ্গলবার মোদীর মোরবি যাওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার পর পরই গুজরাট সরকার নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের ৪ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে মোদীও নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
#MorbiBridgeCollapse | Prime Minister Narendra Modi to visit Morbi, Gujarat tomorrow, 1st November. pic.twitter.com/KvD1QBoEtI
— ANI (@ANI) October 31, 2022
প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাটের মোরবিতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি কেবল সেতু ভেঙে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুলন্ত সেতুর যখন তার ছিঁড়ে যায়, তখন নারী ও শিশুসহ প্রায় ৫০০ লোক ছিলেন সেতুর উপরে। সেতু ভেঙে তাঁরাও নদীতে পড়ে যান। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। ৫ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ব্রিজটি ভেঙে পরার কারণের তদন্ত করছে। ম্যানেজার সহ ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, টানা ৭ মাস ধরে সেতুটির মেরামতি হয়েছিল। তারপরেও কীভাবে সেতুটি ভেঙে পড়ল, তা বুঝতে পারছে না প্রশাসন। অভিযোগ, মেরামতির পর নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই মানুষ চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, শতাব্দী প্রাচীন সেতুটির সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার আগে সুরক্ষা শংসাপত্রও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বিপর্যয়ের নেপথ্যে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। ভারবহন ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ উঠেছিলেন। ব্রিজে লাথি মারা হয়েছিল। ঝাঁকানোও হয়েছিল বলেও অভিযোগ।