শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন প্রধানমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে আগামী ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বার্তায় বলেছেন, দুদিনের ধর্মঘটে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে এবং পরিষেবা না পেয়ে দেশের মানুষ নাকাল হবেন। শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি দাওয়া নিয়ে সরকার আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে আগামী ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারির ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বার্তায় বলেছেন, দুদিনের ধর্মঘটে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে এবং পরিষেবা না পেয়ে দেশের মানুষ নাকাল হবেন। শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি দাওয়া নিয়ে সরকার আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মুল্যবৃদ্ধি রুখতে সরকারের ঔদাসীন্য, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার বিলগ্নীকরণ, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সহ একাধিক ইস্যুতে আগামী কুড়ি এবং একুশে ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী-অবামপন্থী মোট এগারোটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। রবিবার ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। দুদিনের এই ধর্মঘটে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। পরিষেবা না পেয়ে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন বলেও মনে করেন তিনি। এই মর্মে এক বার্তায় শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনার দরজা খোলা বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বার্তায় জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি, কৃষিমন্ত্রী শরদ পাওয়ার, অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম এবং শ্রমমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খারগের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে সমস্ত ইস্যুতে শ্রমিক সংগঠনগুলি ধর্মঘটে যাচ্ছে, তার বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যেই কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, আর বেশ কয়েকটি ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। ধর্মঘট যে কোনও অবস্থাতেই প্রত্যাহার করা হবে না, তা জানিয়ে দিয়েছেন বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন এআইটিইউসির সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্ত। তিনি জানিয়েছেন, আস্থা নয়, শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবিপূরণ করতে হবে সরকারকে।