"একা হাতে বের করেছি ১৮টি দেহ," এখনও কাটছে না বীভত্সতার বিহ্বলতা
ওয়েব ডেস্ক : রিজওয়ান ও তাঁর দুই বন্ধু পেশায় ফোটোগ্রাফার। উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের জগত্ কলোনিতে একটি স্টুডিও চালান তাঁরা। প্রতিদিনের মতো গতকালও একই কাজ করছিলেন রিজওয়ান, সন্দীপ ও তাঁদের আরও এক সঙ্গী।
হঠাত্ই বিকট শব্দ। বুঝে ওঠার আগেই ফোন এল, 'বড় দুর্ঘটনা! তাড়াতাড়ি এস!' ছুটে যান রিজওয়ান ও তাঁর বন্ধুরা। তারপর?
চোখের সামনে এ যেন এক বীভত্স দৃশ্য! ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনা। একটি কামরার ওপর চড়ে রয়েছে আর একটি কামরা। সঙ্গে বাঁচার জন্য চিত্কার, গোঙানি, রক্ত। শনিবারের সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ২৩টি প্রাণ। আহত ৭০ জনেরও বেশি।
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফনগরে বেলাইন উত্কল এক্সপ্রেস, মৃত ২৩
পুরী-হরিদ্বার-কলিঙ্গ উত্কল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ফের একবার উঠে আসছে নাশকতা থেকে গাফিলতির তত্ত্ব। কারণ সন্ধানে শুরু হয়েছে তদন্ত। কিন্তু সেই মুহূর্তে আর কিছু ভাবার মত সময় ছিল না রিজওয়ান, সন্দীপদের কাছে।
দুর্ঘটনার বীভত্সতা দেখে প্রথমটায় কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তারপর সম্বিত ফিরে পেতেই ঝাপিয়ে পড়েন তাঁরা। ট্রেনের ভাঙা অংশ সরিয়ে বের করে আনেন একের পর এক যাত্রীর মৃতদেহ। একটি বা দুটি নয়, ১৮টি দেহ উদ্ধার করেন রিজওয়ান ও সন্দীপ। উদ্ধার করেন বহু আহত যাত্রীকেও। তবে, তাঁরা বাঁচাতে পারেননি তাদের পাড়ার চায়ের দোকানের মালিক ও সেখানে উপস্থিত কয়েকজনকে। দুর্ঘটনার সময় সেই দোকানে গিয়ে ধাক্কা মারে ট্রেনের একটি কামরা।