পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ভারত বন্ধ ডাকল এনডিএ
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৩১ মে ভারত বন্ধের ডাক দিল এনডিএ। এনডিএ-র আহ্বায়ক তথা জনতা দল(ইউনাইটেড) সভাপতি শরদ যাদব এই কথা জানিয়েছেন। এনডিএ-র সমস্ত শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৩১ মে ভারত বন্ধের ডাক দিল এনডিএ। এনডিএ-র আহ্বায়ক তথা জনতা দল(ইউনাইটেড) সভাপতি শরদ যাদব এই কথা জানিয়েছেন। এনডিএ-র সমস্ত শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বন্ধে বাকি দলগুলিকে সামিল করার জন্য আলোচনা চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন এনডিএ-র আহ্বায়ক। সংসদের বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার ঠিক পরপরই কেন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পর্ব পেরিয়ে গেলে, সরকার ডিজেল এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির দিকেও এগোবে বলেও মন্তব্য করেছেন শরদ যাদব। ইউপিএ সরকারকে ধনীদের সরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আকাশছোঁয়া দামের জন্য সরকারকেই দায়ী করেছেন বিহারের মাধোপুরার জেডি(ইউ) সাংসদ।
অন্যদিকে, পেট্রোলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কেরলে হরতাল পালন করছে সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ জোট। পৃথকভাবে হরতাল কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি'ও। এই জোড়া হরতালের জেরে মালয়ালি মুলুকের জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেছে। পেট্রোলের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে এইধরণের বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট। এদিন দিল্লির রফিবাগে পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নীলোত্পল বসুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করে বামেরা। পুলিসের তরফে সেই মিছিলের গতিরোধ করা হয়। পেট্রোলের দাম বাড়ার বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাল ঠাকরে। দলীয় মুখপাত্র সামনাতে বিজেপির ডাকা ভারত বনধকে সমর্থনও জানিয়েছেন শিবসেনা প্রধান। পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে পেট্রোলের সাড়ে সাত টাকা মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিকভাবে কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। এনডিএ ছাড়াও এই ইস্যুতে সরকারের বিরোধিতায় নেমেছে বামপন্থী-সহ সমস্ত অ-ইউপিএ দল। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, বিএসপি-র মতো ইউপিএ শরিক ও সমর্থক দলগুলিও কড়া ভাষায় পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির সমালোচনা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে যথেষ্ট টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরমহলে। ২০১০ সালের জুন মাসে পেট্রোলের দাম নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা হলেও ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম নির্ধারণের বিষয়টি এখনও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই ডিজেলের দাম লিটারপিছু ৫ টাকা বাড়ানোর দরবার করেছে কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কার্যত আমজনতার নাগালের বাইরে চলে যাবে। এই পরিস্থিতিতে `শাঁখের করাতে` পড়া কংগ্রেসকে আরও চাপে ফেলতে দেশজুড়ে বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি নিচ্ছে এনডিএ।