পাঠানকোট হামলার পর সুর চড়াল দিল্লি, মোদীর 'ডিনার ডিপ্লোমেসি' নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের

বাজপেয়ীর লাহোর বাসযাত্রার পরেই শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ। আর মোদীর ঝটিতি পাক সফরের পরেই গুরুদাসপুরে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা। সমাপতন হলেও অস্বাভাবিক নয়। কারণ ভারত পাক সম্পর্কের ইতিহাস বলছে, পাক সেনা ও ISI-এর নিজস্ব  অ্যাজেন্ডার বলি হয় কূটনেতিক উদ্যোগ। ফলে প্রশ্নের মুখে মোদীর পাকিস্তান নীতি।

Updated By: Jan 2, 2016, 06:17 PM IST
পাঠানকোট হামলার পর সুর চড়াল দিল্লি, মোদীর 'ডিনার ডিপ্লোমেসি' নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের

ওয়েব ডেস্ক: বাজপেয়ীর লাহোর বাসযাত্রার পরেই শুরু হয় কার্গিল যুদ্ধ। আর মোদীর ঝটিতি পাক সফরের পরেই গুরুদাসপুরে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা। সমাপতন হলেও অস্বাভাবিক নয়। কারণ ভারত পাক সম্পর্কের ইতিহাস বলছে, পাক সেনা ও ISI-এর নিজস্ব  অ্যাজেন্ডার বলি হয় কূটনেতিক উদ্যোগ। ফলে প্রশ্নের মুখে মোদীর পাকিস্তান নীতি।

লাহোর বাসযাত্রা
কার্গিল যুদ্ধ

উফায় মোদী শরিফ বৈঠক
গুরদাসপুর  হামলা

লাহোর দাওয়াত
পাঠানকোট হামলা

লাহোরে নরেন্দ্র মোদীর ঝটিকা সফর ঝড় তুলেছিল জাতীয় রাজনীতিতে। তবে আশাবাদী ছিল কূটনৈতিক মহল। জল্পনা ছিল, এবার হয়তো দুই প্রতিবেশির সম্পর্কের বরফ গলবে। কিন্তু লাহোর দাওয়াতের আটদিনের মাথায় পাঠানকোটে জঙ্গি হামলা নরেন্দ্র মোদীর পাক নীতিকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল।

বিরোধীদের দাবি, দেশকে অন্ধকারে রেখে লাহোরে মোদীর ডিনার ডিপ্লোমেসি ডাহা ফেল। পাঠানকোট হামলার পর সুর চড়িয়েছে দিল্লিও।

বাজপেয়ী জমানা থেকে হালের মোদী জমানা। ইতিহাস বলছে, যখনই দিল্লি-ইসলামাবাদ আলোচনার টেবিলে বসেছে, তখনই পাক জঙ্গিদের হামলার শিকার হয়েছে ভারত। কখনও প্ররোচনা এসেছে কূটনৈতিক স্তরে, কখনও জঙ্গি হামলার মাধ্যমে।  

শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য  ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যকরী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। সেজন্যই দরকার  শান্তি প্রক্রিয়া জারি রাখা । কিন্তু এটাও বাস্তব যে কোনও পাক প্রধানমন্ত্রীই পাকসেনা, আইএসআই বা কট্টরপন্থীদের এড়িয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে  পারেন না। তাই আজও পাকিস্তানে খুলে আম ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাব্বিশ এগারোর চক্রীরা।  পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারত বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে হাফিজ সইদ। রক্তাক্ত হচ্ছে গুরদাসপুর, পাঠানকোট। এভাবেই বার বার পাক সেনা ও আইএসআই-এর অ্যাজেন্ডার বলি হচ্ছে কূটনৈতিক উদ্যোগ।

 

.