'অপারেশন পাঠানকোট'- রীতিমতো ফলাও করেই সন্ত্রাস চালাল পাক জঙ্গিরা

অনেকদিন আগে বাড়ির কর্তাকে চিঠি দিয়ে দিনক্ষণ জানিয়ে ডাকাতি করতে যেত রঘু ডাকাত-বিশে ডাকাতের দল। ২০১৬ সালে পাঠানকোট হামলাতেও কার্যত একই পথে হাঁটল জঙ্গিরা। দেশের তাবড় নিরাপত্তা সংস্থার RADAR-এ থেকেও বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালাল তারা।

Updated By: Jan 3, 2016, 09:29 AM IST
'অপারেশন পাঠানকোট'- রীতিমতো ফলাও করেই সন্ত্রাস চালাল পাক জঙ্গিরা

ওয়েব ডেস্ক: অনেকদিন আগে বাড়ির কর্তাকে চিঠি দিয়ে দিনক্ষণ জানিয়ে ডাকাতি করতে যেত রঘু ডাকাত-বিশে ডাকাতের দল। ২০১৬ সালে পাঠানকোট হামলাতেও কার্যত একই পথে হাঁটল জঙ্গিরা। দেশের তাবড় নিরাপত্তা সংস্থার RADAR-এ থেকেও বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে হামলা চালাল তারা।

নিউইয়ার বা তার আশপাশে ভারতে হামলা হবে। ফলাও করে হুমকি দিয়েছিল পাক জঙ্গিরা।

অপারেশন পাঠানকোটে রীতিমতো ফলাও করেই সন্ত্রাস চালাল তারা।  

শুরুতেই টার্গেট গুরদাসপুরের এসপি সালবিন্দর সিং ও তাঁর দুই সঙ্গী। বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণের পর তিনজনকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে জঙ্গিরা। এসপিকে মারধরের পর চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। গলায় ক্ষুর চালিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয় এসপির সঙ্গীকে। এরপর পুলিসের গাড়ি নিয়েই চরকিপাক।

SP-কে ছেড়ে দিলেও তাঁর মোবাইল নিজেদের কাছে রেখে দেয় জঙ্গিরা। গুরদাসপুরের পুলিস সুপারের মোবাইল থেকেই ফোন যায় পাকিস্তানে। একবার নয়। চার চারবার।

খারাপ কিছু একটা ঘটতে চলেছে। গন্ধ পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। জঙ্গিদের কব্জায় থাকা SP-র মোবাইল ট্র্যাক করতে শুরু করেন তাঁরা। দেখা যায়, বৃহস্পতিবার মাঝ রাত থেকে শুক্রবারের মধ্যে SP-র মোবাইল থেকে ফোন গেছে পাকিস্তানের ভাওয়ালপুরের একটি নম্বরে।

ফোনালাপ শুনে গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়। বুঝে যান টেরর অ্যাটাকের প্রস্তুতি চলছে।

খবর যায় দিল্লিতে। শুক্রবার বৈঠকে বসেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। রাতারাতি NSG পৌছে যায় পাঠানকোটে। চলে আসে এয়ার ফোর্সের গরুড় কমান্ডো।

জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাবের বর্ডার পয়েন্টে পাঠানকোট। তার পাশে রাভি নদীর পাড় বরাবর পাকিস্তান ও পঞ্জাবের বর্ডার। জঙ্গিদের সন্ধানে সেখানে চিরুনি তল্লাসি চালানো হয়।

শনিবার ভোর ৩টেয় পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা। তার আগে রাত ১টা ৪০ মিনিটে শেষ বারের মতো SP-র মোবাইল থেকে ফোন যায় পাকিস্তানে। সেটাও জানতেন গোয়েন্দারা। তবু হামলা ঠেকানো যায়নি।

ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের গতিবিধি নজরে রাখছে। কিন্তু কিছুই করতে পারছে না। ঠিক এটাই চেয়েছিল জঙ্গিরা। আর এখানেই আলাদা মাত্রা পেয়ে গিয়েছে পাঠানকোট সন্ত্রাস।

পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটি মিগ ২৯ এর বেস হিসেবে পরিচিত। এখানেই থাকে গানশিপ চপার।  টেকনিক্যাল এরিয়ায় ঢুকে ম্যাক্সিমাম ড্যামেজ করাই ছিল জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য। নিরাপত্তা রক্ষীদের সাফল্য সেই ক্ষতি তাঁরা আটকে দিয়েছেন। জঙ্গিদের সাফল্য, তারা যা করল সবই জানিয়ে করল।

দুপক্ষের টানটান স্নায়ুযুদ্ধ। তাবড় নিরাপত্তা সংস্থার RADAR এ থেকেও কীভাবে এত কনফিডেন্ট হতে পারে জঙ্গিরা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা তখনই সম্ভব, যখন শত্রুশিবিরের খুঁটিনাটি তথ্য কারও কাছে থাকে।  আর সেখানেই উঠছে কেকে রঞ্জিতের নাম। ISI এর হাতে তাহলে কত তথ্য তুলে দিয়েছেন ভাতিন্ডা এয়ারবেসের প্রাক্তন এই বায়ুসেনা কর্মী!

.