পাঠানকোটে অপহরণকাণ্ড নিয়ে সলবিন্দার সিংয়ের বিবৃতি ঘিরে বাড়ছে সংশয়

পাঠানকোটে অপহরণকাণ্ড নিয়ে সলবিন্দার সিংয়ের বিবৃতি ঘিরে বাড়ছে সংশয়। এর জেরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল NIA। অন্যদিকে, বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ভারতের দেওয়া তথ্য সম্পর্কে তদন্তের নির্দেশ দিলেন নওয়াজ শরিফ। এনিয়ে আজ ফের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন শরিফ। পাঠানকোট কাণ্ডে গুরদাসপুরের এসপি সলবিন্দার সিংয়ের বিবৃতিতে সন্তুষ্ট নন NIA আধিকারিকেরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল NIA। সোমবার তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, অপহরণকাণ্ডের  বিবৃতিতে অসঙ্গতি থাকায় সলবিন্দরের পলিগ্রাফ অথবা লাই ডিটেক্টর টেস্ট করা হতে পারে।

Updated By: Jan 8, 2016, 10:47 PM IST
পাঠানকোটে অপহরণকাণ্ড নিয়ে সলবিন্দার সিংয়ের বিবৃতি ঘিরে বাড়ছে সংশয়

ওয়েব ডেস্ক: পাঠানকোটে অপহরণকাণ্ড নিয়ে সলবিন্দার সিংয়ের বিবৃতি ঘিরে বাড়ছে সংশয়। এর জেরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল NIA। অন্যদিকে, বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ভারতের দেওয়া তথ্য সম্পর্কে তদন্তের নির্দেশ দিলেন নওয়াজ শরিফ। এনিয়ে আজ ফের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন শরিফ। পাঠানকোট কাণ্ডে গুরদাসপুরের এসপি সলবিন্দার সিংয়ের বিবৃতিতে সন্তুষ্ট নন NIA আধিকারিকেরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠাল NIA। সোমবার তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, অপহরণকাণ্ডের  বিবৃতিতে অসঙ্গতি থাকায় সলবিন্দরের পলিগ্রাফ অথবা লাই ডিটেক্টর টেস্ট করা হতে পারে।
শুক্রবারই সলবিন্দারকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান NIA -এর প্রতিনিধিরা। পুরো এলাকা খুঁটিয়ে পরিদর্শন করেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই  সলবিন্দারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পাঞ্জাব পুলিস। তদন্তকারীদের দাবি, অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে এসপির সঙ্গী ও রাধুনি যে বিবৃতি দিয়েছেন, তার সঙ্গে মিলছে না এসপির বিবৃতি। অপহরণকাণ্ড থেকে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা, তদন্তের স্বার্থে ঘটনার পরম্পরা নির্মাণ করতে চাইছে NIA। সেকারণেই তাঁদের ভাবাচ্ছে সলবিন্দারের বিবৃতি।অন্যদিকে, পাঠানকোট কাণ্ডে ভারতের দেওয়া তথ্য সম্পর্কে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন শরিফ। পাক গোয়েন্দা ব্যুরো প্রধান আফতাব সুলতানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ভারতের দেওয়া তথ্যগুলি। পাঠানকোট কাণ্ড নিয়ে এদিনও ফের  উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দুদিনে দুবার।এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ, ছিলেন পাক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির জনজুয়া এবং ডিরেক্টর অফ মিলিটারি অপারেশনস।  
পাঠানকোটকাণ্ডের আগে পড়ে ভারত-পাক কূটনীতিতে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে, যা আগে দেখা যায়নি।  হামলা এবং জঙ্গিদমনে অভিযানের মধ্যেই নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন নওয়াজ শরিফ। শরিফকে ব্যবস্থা নিতে বলেন মোদী। পাক ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়া জঙ্গিদের হামলায় জড়িত থাকার তথ্য পেশ করে দিল্লি। বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনিশ্চিত রেখে বল ঠেলে দেয় ইসলামাবাদের কোর্টে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বৈঠক বাতিলের দায় সম্ভবত নিতে চাইছে না ইসলামাবাদ। পাক প্রধানমন্ত্রীর বারবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও সম্ভবত সেই লক্ষ্যেই। কিন্তু পাক সেনার বাধা এড়িয়ে সত্যিই কি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন পাক প্রধানমন্ত্রী? 

.