ভারতের সব থেকে ভৌতিক নটি জায়গা, যেখানে যেতে মারাত্মক সাহস লাগবে
আপনার ভূতের ভয় আছে নাকি? খুব ভূতের ভয়? একা রাতে শুতেও পারেন না? সে আপনি ভয় যতই পান, ভূতের ব্যাপারে আপনার কৌতূহল নিশ্চয়ই রয়েছে। তাহলে জেনেই নিন আমাদের দেশে মানে ভারতের সবথেকে ভৌতিক ১০টি জায়গার নাম।
ওয়েব ডেস্ক: আপনার ভূতের ভয় আছে নাকি? খুব ভূতের ভয়? একা রাতে শুতেও পারেন না? সে আপনি ভয় যতই পান, ভূতের ব্যাপারে আপনার কৌতূহল নিশ্চয়ই রয়েছে। তাহলে জেনেই নিন আমাদের দেশে মানে ভারতের সবথেকে ভৌতিক ১০টি জায়গার নাম।
১) মীরাট এর জিপি ব্লক: এইখান থেকে যাওয়ার সময় অনেক মানুষই দেখেছেন সাদা পোশাকে চারটি ছেলে একেবারে দোতলা বাড়ির ছাদে বসে ফিসফিসিয়ে গল্প করছে। ওদের হাতে রয়েছে বিয়ারের গ্লাসও। কখনও সখনও কেউ কেউ দেখেছেন, একটি মেয়েও লাল পোষাক পরে ওই বাইরে থেকে বেরিয়ে আসছে। ওই ফাঁকা দোতলা বাড়ির ভয়ে এখন আর কেউ সেদিকে যায় না।
২) দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট : হলই বা ভারতের রাজধানী। ভূতের ভয় সেখানে কম নয় মোটেই। সেখানকার ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চল একেবারে গাছে ঘেরা। ফাঁকা রাস্তা। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে সাদা শাড়ি পরা এক মহিলা মাঝে মাঝেই লিফট চান। লিফট দিতে অস্বীকার করলে তিনি গাড়ির পিছনে ওই গতিতে দৌড়ে আসেন! এই রাস্তাতেও মানুষ খুব দরকার না পড়লে, এখন আর যায় না।
৩) পুনের সানিওয়াড়ওয়াড়া কেল্লা : পুনের এই কেল্লার এক ঐতিহাসিক গল্প রয়েছে। এখানে পূর্ণিমার রাতে নাকি এক রাজকুমারকে দেখা যায়। সেই রাজকুমারের যখন ১৩ বছর বয়স, তখন তাঁকে খুন করা হয়েছিল। খুন করেছিলেন তাঁর এক আত্মীয়ই। সেই রাজকুমারের অতৃপ্ত আত্মাই নাকি এখনও পূর্ণিমার রাতে চলে আসে।
৪) থানের বৃন্দাবন সোশ্যাইটি : এখানকার এক বহুতলে দুই নিরাপত্তারক্ষী কর্মরত থাকা অবস্থায়, একজন আর একজনকে গুলি করে মেরে ফেলে। সেই থেকে ওই বহুতলে নাকি ওই মৃত নিরাপত্তারক্ষীর আত্মা ঘুরতে আসে। তাই থানের অন্তম ভৌতিক জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বৃন্দাবন সোশ্যাইটি।
৫) মুম্বইয়ের মাহিমের ডিসুজা চাওল : এখানে নাকি এক মহিলা জল খাবার সময় মারা যান। সেই থেকে ওই মহিলা প্রায়ই মানুষকে দেখা দেন। তাঁকে ভয় পায় সবাই। সেইজন্য কেউ আর ওখানে যায় না। তবে, লোকে পাশাপাশি এটাও বলে যে, ওই মহিলা ভূত কারও ক্ষতি করেনি কখনও।
৬) গুজরাটের দুমাস বিচ : গুজরাটের এই সমুদ্র সৈকতে মানুষ পোড়ানো হয়। তাদেরই আত্মারা নাকি রাতে সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মাঝেই রাতে বিচে হাঁটতে গেলেই কাঁধের কাছে কারও ফিসফিস করে কথা বলার শব্দ শুনতে পাবেন। কিন্তু কাউকে দেখতে পাবেন না। সেই ভয়েই রাতে কেউ বিচে যায় না বলেই চলে।
৭) রাজস্থানের কোটার রাজবাড়ি ভবন : প্রায় ১৭৮ বছরের পুরনো। এই রাজবাড়িতেও রাত্রিবেলা এক পুরুষকে হাঁটতে দেখা যায়। অনেকেই সেই ছায়ামানুষকে রাতের অন্ধকারে রাজবাড়ির অলিন্দে হাঁটতে দেখেছেন।
৮) পশ্চিমবঙ্গের ডাউহিল : ডাউহিল ফরেস্টে অনেক মানুষকে খুন করা হয়। অনেকেই দেখেছেন এখানকার ভিক্টোরিয়া বয়েজ স্কুলের মাঠে একটি বালকের মাথা কাটা। সে ওই অবস্থাতেই দিব্যি গাছে উঠছে। ডাউহিল সত্যিই শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয়, গোটা দেশের এক ভয়ঙ্কর জায়গায় পরিণত হয়েছে।
৯) রাজস্থানের ভানগড় কেল্লা : রাজা মাধো সিং এই কেল্লা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীকালে এই কেল্লাটি একদিন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। না, ওই বাড়ি থেকে কেউ আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। ব্যাস সেই থেকে রাতে আর কেউ কেল্লা মুখো হন না। এতগুলো ভূতকে কীভাবে সামালবেন!