পাক-আকাশপথ বন্ধ থাকলেও ভারতের বিমান চলাচলে প্রভাব পড়বে না, জানালেন বায়ুসেনার প্রধান
বিএস ধানোয়া আরও জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২-৩ ঘণ্টার জন্য শ্রীনগরের আকাশ পথ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তার পর খুলে দেওয়া হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তান তাদের আকাশপথ বন্ধ করে রাখলেও ভারতের অসমারিক বিমান চলাচলে কোনও প্রভাব পড়বে না। জানিয়ে দিলেন বায়ুসেনার প্রধান বীরেন্দ্র সিং ধানোয়া। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এয়ার চিফ মার্শাল বলেন, তাদের আকাশপথ বন্ধ রয়েছে, সেটা পাকিস্তানের সমস্যা। এতে ভারতের বিমান চলাচলের কোনও প্রভাব পড়বে না। পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের অর্থনীতি মজবুত। এয়ার ট্রাফিক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিভিল এয়ার ট্রাফিকে কোনও প্রভাব ফেলতে দেয়নি বলে দাবি বায়ুসেনা প্রধানের।
বিএস ধানোয়া আরও জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২-৩ ঘণ্টার জন্য শ্রীনগরের আকাশ পথ বন্ধ রাখা হয়েছিল। তার পর খুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এখনও পাকিস্তান তাদের আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। সম্প্রতি, বিশকেক এসসিও (সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশ) সম্মেলেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য পাক আকাশপথ ব্যবহারের অনুমিত চেয়েছিল নয়া দিল্লি। তবে, ইসলামাবাদের অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষা না করেই ঘুরপথে বিশকেক পৌঁছন নরেন্দ্র মোদী। তবে, তত্কালীন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের জন্য পাকিস্তান তাদের আকাশপথ ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছিল।
#WATCH BS Dhanoa, Indian Air Chief Marshal says,"On Balakot let me tell you, Pakistan didn't come into our airspace. Our objective was to strike terror camps & their's was to target our army bases. We achieved our military objective. None of them crossed the Line of Control." pic.twitter.com/l5pt3xFcqa
— ANI (@ANI) June 24, 2019
আরও পড়ুন- মুসলিমদের প্রার্থী করতে চাননি অখিলেশ! সংখ্যালঘু ভোট বাঁচাতেই তোপ মায়াবতীর!
এ দিন বায়ু সেনা প্রধান বলেন, বালাকোট হামলায় দারুণ সাফল্য পেয়েছে ভারত। নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে বায়ুসেনা। কিন্তু পাক-বায়ুসেনা পালটা আক্রমণে ব্যর্থ হয়। সীমান্তে সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারেনি পাকিস্তান। এরপর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরোনো সাহসও দেখাতে পারবে না পাকিস্তান বলে দাবি বিএস ধানোয়ার। উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা ৪০ জওয়ানের মৃত্যু পালটা জবাবে বালাকোটে হামলা চালায় ভারতে বায়ুসেনা। সেখানে জইশের ঘাঁটি ভেঙে দেওয়া হয় বলে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়। আনুমানিক ৩০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতের দাবি। এই হামলার পরের দিনই পালটা এফ১৬ নিয়ে হামলা চালায় পাকিস্তান। কিন্তু বায়ু সেনার তত্ক্ষণাত জবাবে খালি হাতে ফিরতে হয় পাক বায়ুসেনাকে। উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান তাদের হেফাজতে গেলেও কূটনৈতিক চাপে পড়ে দু’দিনের মধ্যে ফিরত দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।