“শুধুমাত্র চিন্তা একটাই...” জেল হেফাজত নিয়ে কী বললেন পি চিদাম্বরম
তাঁকে সিবিআই বা ইডির হেফাজতে রাখলেও ক্ষতি নেই। তবে, আজ সকালে সুপ্রিম কোর্ট এবং পরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁর এই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিহাড় জেলে যাওয়ার আগে পি চিদাম্বরমের প্রথম প্রতিক্রিয়া, “শুধুমাত্র অর্থনীতি নিয়ে চিন্তিত আমি”। কিন্তু এই জেলে যাবেন না বলে নানা ধরনে যুক্তি সাজিয়ে আদালতে পেশ করেছিলেন। চিদাম্বরমের যুক্তি ছিল, ৭৩ বয়সে জেলে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এমনকি তিনি অসুস্থও। তাঁকে সিবিআই বা ইডির হেফাজতে রাখলেও ক্ষতি নেই। তবে, আজ সকালে সুপ্রিম কোর্ট এবং পরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁর এই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়।
শেষমেশ তিহাড় জেলেই কাটাতে হচ্ছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে। আজ সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায়। অর্থাত্ ১৯ তারিখ পরবর্তী শুনানি হবে। নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় না বলে এ দিন সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই এই নির্দেশ দিলেন বিশেষ আদালতের বিচারক।
আজই সকালে সুপ্রিম কোর্টও চিদাম্বরমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। এর ফলে চিদাম্বরমকে ইডির গ্রেফতার করার পথ আরও সহজ হয়ে যায়। যদি সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে চিদাম্বরম জামিন পেয়ে যেতেন, তা হলে গ্রেফতার করত ইডির তদন্তকারীরা। এ দিন আদালত চত্বরে ইডির তদন্তকারীদের লক্ষ করা যায়।
শুনানির শুরু থেকেই চিদাম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, তিহাড় জেলে যেতে চান না তাঁর মক্কেল। প্রয়োজনে ইডির হেফাজতেও যেতে রাজি। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, চিদাম্বরম প্রভাবশালী নেতা। তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো উচিত। জামিনে থাকলে প্রমাণ লোপাট করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন- আংশিক জয়! এয়ারসেল-ম্যাক্সিস মামলায় চিদাম্বরকে আগাম জামিন দিল দিল্লি আদালত
সিবিআইয়ের আবেদন মেনেই আদালত তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায়। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর জন্য পৃথক কক্ষ, খাট, বিদেশি টয়লেট ও ওষুধপত্র দিতে হবে দাবি জানান কপিল সিব্বল। জানা যাচ্ছে, ৭ নম্বর জেলের পৃথক কক্ষ চিদাম্বরমের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তারও দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, আজ সকালেই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণ করতে তদন্তকারীদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এই মুহূর্তে তাঁর জামিন মঞ্জুর তদন্তে ক্ষতি হতে পারে।
#WATCH Delhi: P Chidambaram waves as he is being taken in a Police bus to Tihar Jail. The Court has remanded him to judicial custody till September 19 in CBI case in INX media matter pic.twitter.com/Z9bki5zYIv
— ANI (@ANI) September 5, 2019
ফলে সুপ্রিম কোর্টও তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে আইএনএক্স সংস্থাকে ৩০৫ কোটি বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে। সে সময় তিনি ছিলেন মনমোহন সরকারের অর্থমন্ত্রী এবং ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড (এফআইপিবি)-র চেয়ারম্যান। অভিযোগ, ওই পদের প্রভাব খাটিয়ে মোটা অঙ্কের বিদেশি লগ্নি পাইয়ে দেন পিটার এবং ইন্দ্রাণী মুখার্জির সংস্থা এআইএক্স-কে। এর পরিবর্তে তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের সংস্থা বড় রকমের ঘুষ পায় বলে অভিযোগ।