জল্পনার অবসান, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরই ঠিক হবে মহাজোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ

দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন রাহুল গান্ধীই, ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। 

Updated By: Aug 4, 2018, 04:07 PM IST
জল্পনার অবসান, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরই ঠিক হবে মহাজোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ

নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? মহাজোট ক্ষমতায় এলে কে বসবেন দিল্লির তখতে? এনিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়াবতীর নাম ভেসে আসছে। তবে এই জল্পনার নিষ্পত্তি করে ফেলেছেন বিরোধী নেতানেত্রীরা।  সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হবে। 

কংগ্রেসের কার্যকরী বৈঠকের পর ঘোষণা করা হয়েছিল, দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন রাহুল গান্ধীই। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছিলেন, দুশোর বেশি আসন পেলে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন কংগ্রেস সভাপতিই। পরে অবশ্য রাহুল জানান, মোদীকে রুখতে প্রধানমন্ত্রীর পদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতীকেও ছেড়ে দিতে রাজি তিনি। ফলে এখন যে খবর মিলছে, তাতে নরেন্দ্র মোদীকে আটকাতে আত্মত্যাগেও রাজি রাহুল গান্ধী। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর বিষয়টি ঝুলিয়েই রাখলেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী এখনই ঘোষণা করলে মহাজোটের ঐক্যে চিড় ধরার আশঙ্কাও ছিল।   

এদিকে, লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টির সঙ্গে মহাজোট প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে কংগ্রেস। জোটের কারবারিদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের পাঁচের বেশি আসন পাবে না বিজেপি। কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের সূত্রের খবর, জোট নিয়ে কথা প্রায় পাকা। আর এই জোট প্রক্রিয়ায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, জোটে সম্মানজনক আসন পেতে চলেছে দল।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষপুর, ফুলপুর ও কৈরানার মতো আসনে উপনির্বাচনে বিরোধী জোটের সামনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তাতেই উজ্জীবিত বিরোধী শিবির। ফলে মোদীকে ঠেকাতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিরোধী ঐক্যেই ভরসা রাখছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কংগ্রেসের আশা, ২০১৯ সালে আর প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। ২৩০টির কম আসন বিজেপি পেলে কোনওমতেই সরকার গঠন করতে পারবে না তারা।

শোনা যাচ্ছে, রায়বরেলী কেন্দ্রটি এবার নিজের কন্যাকে ছেড়ে দিতে পারেন সনিয়া গান্ধী। তবে রায়বরেলীর আসন ছাড়া নিয়ে সনিয়ার সঙ্গে রাহুলের কথা হয়নি বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সনিয়া গান্ধীর উপরেই ছেড়ে দিয়েছে দল।

আরও পড়ুন- নভেম্বরে যোগদানের পর বিজেপিতে প্রোমোশন মুকুল রায়ের, দিল্লির সুনজরে জয়ও

 

 

.