নোটবাতিলের ছয় বছর, সরকারকে একযোগে আক্রমণ বিরোধীদের
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে লিখেছেন, নোটবাতিলের সুফল পেয়েছে দেশবাসী। দেশে কালো টাকা ফিরে এসেছে বলেও লিখেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন দেশে দারিদ্র কমেছে। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন দাবি করেন এই টাকা বিজেপি-র ঘরে গিয়েছে এবং সেই টাকাতেই বিভিন্ন রাজ্যে বিধায়কদের কিনে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার নোট বাতিলের ছয় বছর। ২০১৬ সালে আজকের দিনে রাতারাই বাতিল হয়ে যায় ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। রাত আটটায় আচমকাই দেশবাসির উদ্দেশ্য ভাষণে নোট বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই বিভিন্ন ব্যাংক এবং এটিএম-এর বাইরে দেখা যায় নোট বদল করার লম্বা লাইন। প্রধানমন্ত্রীর তরফে বলা হয় এই পদক্ষেপের মূল কারণ কালো টাকা উদ্ধার করা। কিন্তু কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে এবং মানুষ এর সুবিধা কতটা পেয়েছেন সেই নিয়ে আজও সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
দেশের আর্থিক পরিস্থিতি মোটেও সুবিধাজনক নয়। ডলার প্রতি টাকার দাম বাড়ছে প্রতিদিন। অন্যদিকে আকাশ ছিয়েছে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে প্রতিদিন। বিরোধীরা প্রত্যেকেই জানিয়েছে দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়ার প্রথম ধাপ ছিল নোটবন্দী। অন্যদিকে অমিত মালব্য সহ একাধিক নেতা পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিরোধীদের। তাদের দাবি বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই চলতে হচ্ছে ভারতেই অর্থনীতিকে।
বাম নেতা সিতারাম ইয়েচুরি ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘মোদী এবং তার সরকারের আধিপত্যের ষষ্ঠ বার্ষিকী যা ভারতীয় অর্থনীতিকে মেরে ফেলেছে। ডিমনিটাইজেশনের ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে নগদ প্রচলনের রেকর্ড বৃদ্ধি। ৩০.৮৮ লক্ষ কোটি টাকা!
সবচেয়ে খারাপ জুমলা - "এই কষ্ট মাত্র ৫০ দিনের।"
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে লিখেছন, ‘নোটবন্দী 'PayPM'-এর একটি ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ ছিল যাতে তার ধনকুবের বন্ধুদের মধ্যে ২-৩ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা ধ্বংস করে ভারতের অর্থনীতিকে একচেটিয়া আধিপত্য করতে পারে’।
বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মোদী যা যা ঘোষণা করেছেন তাঁর কোনটাই মেলেনি। তিনি আরও বলেন যে বাজারে নগদের ট্রানজাকশন বেড়েছে। ডিজিটাল লেনদেন বাড়েনি, কাউন্টারফিট কারেন্সি কমেনি, কালো টাকাও ফেরেনি। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা জুমলা।
অন্যদিকে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ট্যুইট করে লিখেছেন, নোটবাতিলের সুফল পেয়েছে দেশবাসী। দেশে কালো টাকা ফিরে এসেছে বলেও লিখেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন দেশে দারিদ্র কমেছে।
তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, ‘নোটবাতিলের মধ্যে দিয়ে বিজেপি-র এত লাভ হয়েছে, সারা পৃথিবীতে একজন প্রধানমন্ত্রীর মধ্য দিয়ে একটি দল মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ঝরিয়ে, দেশের একশো শতাংশ মানুষকে চার ঘণ্টার নোটিশে লাইনে দাঁড় করিয়ে নিজেদের দলের সম্পত্তি বাড়ানোর যে প্রক্রিয়া, এর থেকে সফল আর কিছু হতে পারে নাকি?’
তিনি আরও দাবি করেন এই টাকা বিজেপি-র ঘরে গিয়েছে এবং সেই টাকাতেই বিভিন্ন রাজ্যে বিধায়কদের কিনে সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি।