উলটপুরান! চারটি পরমাণু চুল্লি বন্ধ আমেরিকায়
এ যেন উলটপুরান। একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু বিদ্যুতের পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছিল। সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ বলছে পরমাণু বিদ্যুত উত্পাদন বেশ খরচ সাপেক্ষ। খরচের ধাক্কা সামলাতে না পেরে চারটি পরমাণু চুল্লি বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। এমনটাই জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউক্লিয়ার ওপারেটরসের ডিরেক্টর ডেভ পার। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন ভারতের ক্ষেত্রে এই বিদ্যুত্ উত্পাদন লাভজনক হবে।
এ যেন উলটপুরান। একসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু বিদ্যুতের পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছিল। সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ বলছে পরমাণু বিদ্যুত উত্পাদন বেশ খরচ সাপেক্ষ। খরচের ধাক্কা সামলাতে না পেরে চারটি পরমাণু চুল্লি বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। এমনটাই জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউক্লিয়ার ওপারেটরসের ডিরেক্টর ডেভ পার। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন ভারতের ক্ষেত্রে এই বিদ্যুত্ উত্পাদন লাভজনক হবে।
২০০৮ সালে প্রথম ইউপিএ সরকারের আমলে ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে ১৪টি পরমাণু চুল্লির তৈরির বিষয়ে সম্মত হয় নয়াদিল্লি। কিন্তু সেই পরমাণু বিদ্যুত্ নিয়ে আজ ভিন্ন সুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরে এক অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউক্লিয়ার অপারেটরসের ডিরেক্টর ডেভ পার জানিয়েছেন উত্পাদন খরচের ধাক্কায় ইতিমধ্যেই চারটি পরমাণু চুল্লি বন্ধ হয়ে গেছে।
যে খরচ ওয়াশিংটন সামলাতে পারেনি, সে খরচ নয়াদিল্লি সামলাবে কী করে? এই প্রশ্ন ওঠা যে স্বাভাবিক তা বিলক্ষণ জানেন ডেভ পার। তাই আগেভাগেই ব্যাখা দিয়ে দিয়েছেন তিনি। তারমতে দুই অর্থনীতির ধাঁচ একেবারে আলাদা। নয়াদিল্লির পক্ষে পরমাণু বিদ্যুত্ উতপাদন মোটেই তেমন খরচসাপেক্ষ হবে না বলেই দাবি করেছেন ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউক্লিয়ার ওপারেটরসের ডিরেক্টর।
ভারত মার্কিন পরমাণু চুক্তি নিয়ে আপত্তি তুলে ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল বামেরা। আপত্তির অন্যতম কারণ ছিল পরমাণু বিদ্যুতের চড়া দাম। দেশের কত শতাংশ মানুষ চড়া দামে পরমাণু বিদ্যুত্ কিনতে পারবেন সে প্রশ্ন তুলেছিল বামদলগুলি। ফলে ডেভ পারের আশ্বাসবাণীর সঙ্গে বাস্তবের মিল কতটা তা সময় বলবে।