‘বিয়ে করুন ফর্সা কাশ্মীরি মেয়েদের’ বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের
গতকাল জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদের প্রস্তাব এবং সে রাজ্যের পুর্নগঠন বিল বিপুল ভোটে পাশ হয়ে যায় লোকসভায়। যার ফলে সংবিধানের ৩৭০ ধারায় প্রাপ্ত বিশেষ মর্যাদা হারান কাশ্মীরের মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্সুক বিজেপি কর্মীরা। জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর কাশ্মীরের মহিলাদের বিয়ে করতে আর অসুবিধা নেই। তাই ‘উত্সুক’ বিজেপি কর্মীরদের উদ্দেশে উত্তর প্রদেশের বিধায়ক বিক্রম সাইনি বলেন, ‘মুসলিম কর্মীদের আনন্দ করা উচিত। এ বার ফর্সা কাশ্মীরের মেয়েদের বিয়ে করতে অসুবিধা নেই।’ যদিও এমন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য প্রথম নয় খাটাউলি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়কের। এমন একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তিনি।
গতকাল জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদের প্রস্তাব এবং সে রাজ্যের পুর্নগঠন বিল বিপুল ভোটে পাশ হয়ে যায় লোকসভায়। যার ফলে সংবিধানের ৩৭০ ধারায় প্রাপ্ত বিশেষ মর্যাদা হারান কাশ্মীরের মানুষ। পাশাপাশি, রাজ্যের মর্যাদাও হারাতে হয় তাঁদের। জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণা হয়। এরপরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মীরা।
— Sanjay Jha (@JhaSanjay07) August 6, 2019
আরও পড়ুন- দরজায় কড়া নাড়লেই এক ডাকে সাড়া দিতেন...
এমনই এক অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি জানান, বিজেপি কর্মীরা বেশ উত্সুক। বিশেষ করে অবিবাহিতরা। এ বার কাশ্মীরের মেয়েদের বিয়ে করতে কোনও বাধা রইল না। আগে, কাশ্মীরের মেয়ে উত্তর প্রদেশের ছেলেকে বিয়ে করলে তাঁর নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হতো। ভারত এবং কাশ্মীরে পৃথক নাগরিকত্ব থাকতে পারে না। এরপর বিধায়কের ‘বিধান’, “আনন্দ করুন মুসলিম কর্মীরা। ফর্সা কাশ্মীরের মেয়েদের বিয়ে করতে পারেন তাঁরা।” যদিও তাঁর এই মন্তব্যে কোনও অনুতাপ নেই। বিধায়কের সাফ জবাব, যা সত্যি তাই বলেছি...