বেহাল স্বাস্থ্য় ব্যবস্থা,Corona রুখতে UP-র বহু গ্রামে ধর্মীয় বিশ্বাসই মানুষের ভরশা!
অভিযোগ, হাসপাতালে নেই যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা। দূরত্ববিধি ভুলে মন্দিরে মানুষের ভিড় বাড়ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অভিযোগ, গ্রাম থেকে বহু দূরে হাসপাতাল। সেখানেও নেই করোনা চিকিৎসা যথাযথ ব্যবস্থা। হাসপাতালে বাথরুমের অবস্থায় শোচনীয়। এই অবস্থায়, বিজ্ঞান নয় উত্তরপ্রদেশের(Uttar Pradesh) বহু গ্রামে ধর্মীয় বিশ্বাসের জোরেই করোনার মোকাবিলা করছেন সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: আবারও ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ, নদীর ধারে বালিতে পোঁতা শয়ে শয়ে মৃতদেহ
কানপুরের ভান্ডারাস গ্রাম(Bhadras village)। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিনের মধ্য়ে গ্রামে ২০ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। কিন্তু সেগুলি করোনায় মৃত্য়ু কিনা জানেন না কেউ। অভিযোগ, গ্রাম থেকে বহুদূরে হাসপাতাল। সেখানে করোনা পরীক্ষার অবস্থা বেহাল। তাই গ্রামের অনেকে অসুস্থ হলেও, পরীক্ষা করাচ্ছেন না। এটাওয়াহা জেলায়(Etawah district) অবস্থা আরও ভয়াবহ। জেলার সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল, বি আর আম্বেদকর হাসপাতালের( BR Ambedkar Hospital) কোভিড ওয়ার্ডের বাথরুমেই ঝুলছে তালা। অভিযোগ, করোনা ওয়ার্ডে কাজ বন্ধ করবেন না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের স্য়ানিটাইজেশনের কর্মীরা। ফলে, করোনা রোগী থেকে শুরু করে তাঁদের পরিজনরা হাসপাতালের বাইরে যেখানে-সেখানে শৌচকর্ম করছেন। এক রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগ, হাসপাতালের বাইরে যে কল থেকে তাঁরা জল আনেন, সেই কলের কাছেই চলছে শৌচকর্ম। যদিও এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর হয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি! দেশে ৬-৮ সপ্তাহ lockdown-এর সুপারিশ ICMR প্রধানের
সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য পরিষেবার দৈনদশা দেখে উত্তরপ্রদেশের বহু গ্রামের মানুষ ধর্মীয় বিশ্বাস আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মহারাজগঞ্জ জেলার (Maharajganj district) একটি গ্রামে, পুরুষ ও মহিলারা ৯ দিনের ব্রত রাখতে শুরু করেছেন। করোনার প্রকোপ থেকে গ্রামকে রক্ষার জন্য়, দিনে দু'বার করে মন্দিরে যাচ্ছেন তাঁরা। দূরত্ববিধি না মেনেই মন্দিরে বাড়ছে ভিড়।