হোর্ডিং কাণ্ডে যোগী সরকারের এই পদক্ষেপের আইনি ভিত্তি নেই: সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, সিএএ বিরোধী হিংসায় ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ নাম এবং ছবি দিয়ে লখনউয়ের মোড়ে মোড়ে প্রকাশ্যে হোর্ডিং পড়ে। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে যায় যোগী রাজ্যে
নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর প্রদেশে হোর্ডিং কাণ্ডে বৃহত্তর বেঞ্চে মামলা পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। যোগী সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করার মতো আইন নেই বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয় যোগী সরকার। এ দিন, নতুন কোনও রায় না দিয়ে তিন সদস্যের বেঞ্চে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বিচারপতি অনুরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়েও জারি করা হয়নি স্থগিতাদেশ।
উল্লেখ্য, সিএএ বিরোধী হিংসায় ‘ষড়যন্ত্রকারীদের’ নাম এবং ছবি দিয়ে লখনউয়ের মোড়ে মোড়ে প্রকাশ্যে হোর্ডিং পড়ে। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে যায় যোগী রাজ্যে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সোমবার শুনানি করেন খোদ ইলাহাবাদ হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর। রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে কার্যত একহাত নিয়ে বিচারপতি মাথুর জানান, সাধারণ মানুষের গোপনীয়তায় এভাবে হস্তক্ষেপ অনুচিত।
আরও পড়ুন- ইরানে রয়েছেন ৬ হাজার ভারতীয়, তাঁদের সুরক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র: এস জয়শঙ্কর
সরকারের এই পদক্ষেপকে নির্লজ্জ বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি গোবিন্দ মাথুর। প্রকাশ্যে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদকারীদের নাম এবং ছবি প্রকাশ করে সাংবিধানিক মূল্যবোধে আঘাত আনা হয়েছে বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ। ১৬ মার্চের মধ্যে হোর্ডিং সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। এখনও পর্যন্ত হোর্ডিং সরানো হয়নি সরকারের তরফে। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার যুক্তি, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারধীন। তাই হোর্ডিং সরানো হয়নি।