নীতীশের সঙ্গী বদল 'দুর্ভাগ্যজনক', প্রত্যাশিতভাবে বেসুরে বাজলেন শরোদ
ওয়েব ডেস্ক: চার দিনের 'বাক সংযম' থেকে বিদায় নিয়ে মুখ খুললেন জনতা দল ইউনাইটেডের অন্যতম শীর্ষ নেতা শরোদ যাদব। আর মুখ খুলেই জানিয়ে দিলেন, "যা ঘটেছে (নীতীশের শিবির বদল) তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, যা ঘটল জনাদেশ এর জন্য ছিল না"। কথা থেকেই পরিষ্কার যে তিনি মোটেই খুশি নন পাটনা রাজনীতির এই মোড় বদলে।
প্রসঙ্গত, নীতীশের এই সিদ্ধান্ত যে শরোদ যাদব মোটেই ভাল ভাবে নেবেন না সেবিষয়ে একপ্রকার দ্বিধাহীন ছিল জেডিইউ-এর সর্বস্তরের নেতৃত্বই। তবুও নীতীশের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে বারংবার দাবি করা হচ্ছিল যে, 'শরোদ জি' তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন। কিন্তু এটা যে কেবলই পরিস্থিতি সামাল দিতে ও শরোদ যাদবের 'মৌনতার পূর্ণ সদব্যবহার' করতে বলা হচ্ছিল তাও আজকের পর দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এদিকে, লালু দাবি করেছেন যে, 'শরোদ জি' তাঁর সঙ্গে নিয়মিত টেলিফোনে যোগাযোগ রাখছেন এবং লালু নাকি তাঁকে দিল্লিতে বিরোধী শক্তিগুলিকে সংঘবদ্ধ করে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু, এত দিন কেন মৌন থাকলেন শরোদ যাদব?
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, আসলে তিনি যে অখুশি সেটা বুঝিয়ে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে একটি পছন্দসই দফতর ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন পরিপক্ক রাজনীতিক শরোদ যাদব। আর চার দিন চুপ করে থেকে তিনি জল মাপার পর আজ নিজের 'অখুশি' প্রকাশ করলেন কিন্তু সরাসরি নীতীশের সঙ্গ ত্যাগের কথা বললেন না। অর্থাত্ এটাও সম্ভবত বিজেপির প্রতি তাঁর দেওয়া 'ফিলার', এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফেও তাঁকে বারবার তলেতলে বার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। ফলে, নীতীশের ব্যবহারে 'আহত' শরোদ যাদব সত্যিই দল ছাড়বেন কিনা তা এখনও জোর দিয়ে বলতে পারছে না কোনও মহলই। কিন্তু শরোদের আজকের এই প্রকাশ্য মন্তব্যে যে নীতীশের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর কাঁটা সেবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। (আরও পড়ুন- নীতীশ সরকারের বিরুদ্ধে লালুর দলের আর্জি বাতিল পাটনা হাইকোর্টে)