চিদম্বরমের দুর্নীতিকে সাহায্য করেছেন নয়া আরবিআই গভর্নর! স্বামীর বিস্ফোরণে বিপাকে মোদী

সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কে গভর্নের পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত প্যাটেল। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ওই পদে বসানো হয় কেন্দ্রের প্রথম সারির আমলা শক্তিকান্তকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাথায় একজন আমলাকে বসানোয় রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে

Updated By: Dec 12, 2018, 04:04 PM IST
চিদম্বরমের দুর্নীতিকে সাহায্য করেছেন নয়া আরবিআই গভর্নর! স্বামীর বিস্ফোরণে বিপাকে মোদী
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: গভর্নর পদে আইএএস অফিসার শক্তিকান্ত দাসের নাম ঘোষণার পরই তুমুল বিতর্ক শুরু হয় বিভিন্ন মহলে। ‘কেন্দ্রের আস্থাভাজন’ বলে পরিচিত শক্তিকান্ত দাস নোটবন্দির ধকল সামলানোর অন্যতম কারিগর ছিলেন। মোদী সরকারের প্রাক্তন আর্থিক উপদেষ্টা শক্তিকান্তকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর করার সিদ্ধান্ত ভুল বলে দাবি করলেন খোদ বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। স্বামীর মন্তব্যে কার্যত রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলল কেন্দ্রের।

আরও পড়ুন- বিজেপিকে ঠেকাতে মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থানে কিংমেকার মায়াবতী, সরকার গঠনের পথে কংগ্রেস

সোমবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কে গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দেন উর্জিত প্যাটেল। ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ওই পদে বসানো হয় কেন্দ্রের প্রথম সারির আমলা শক্তিকান্তকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাথায় একজন আমলাকে বসানোয় রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, যেখানে পূর্বসূরী গভর্নরদের অর্থনীতির পাণ্ডিত্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না, সেই জায়গা ইতিহাসের স্নাতক আমলা কীভাবে স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানকে চালাবেন! বিতর্ক আরও দাঁনা বাঁধছে, কারণ এই মুহূর্তে নানা আর্থিক ইস্যু নিয়ে  জর্জরিত দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। সমস্যা সমাধানে অপারগ হয়েই ইস্তফা উর্জিত প্যাটেলের বলে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নোটবন্দির মতো সমস্যার অভিজ্ঞতা নিয়ে কতটা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবেন শক্তিকান্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের অন্যতম সদস্য ছিলেন শক্তিকান্ত।

আরও পড়ুন- স্নায়ুর লড়াই শেষ; সরকার গঠনের দাবি জানাব না, জানিয়ে দিলেন শিবরাজ

তবে, গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ আনলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন শক্তিকান্ত দাস। এমনকি বিজেপি নেতার দাবি, বিভিন্ন মামলায় চিদম্বরমকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি জানি না কেন তাঁকে গভর্নরের পদে বসানো হল।” কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠিও লিখেছেন বলে দাবি করেন সুব্রহ্মণ্যম। তবে, স্বামীর মন্তব্য কেন্দ্রকে আরও চাপে ফেলল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। উর্জিত প্যাটেলের পদত্যাগে একেই ব্যাকফুটে মোদী সরকার। তার উপর শক্তিকান্তকে গভর্নর করে কেন্দ্র নিজেদের নীতি চাপাতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর সুব্রহ্মণ্যমের মন্তব্য কেন্দ্রের কাছে খানিকটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের মতো বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

.