বিহারে এনডিএ-র আসন সমঝোতার 'ডিল' অধরাই
উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে জোট নিশ্চিত করে মোদী-অমিত শাহদের খেল খতম করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী।
জ্যোর্তিময় কর্মকার
বিহারে বিজেপি ও জেডিইউ আসন বণ্টনে 'ফাইনাল ডিল' নাকি হয়ে গিয়েছে! এমন খবর করেছিল জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি। কিন্তু আদতে এখনও বিহারে অচলাবস্থা। নীতীশের দলের সঙ্গে চূড়ান্ত রফা করতে ব্যর্থ বিজেপি। আসন বণ্টন নিয়ে নীতীশ-বিজেপি সংঘাত চরমে। এবার কি তাহলে একলা লড়ার পথে হাঁটবে জেডিইউ?
উত্তরপ্রদেশ আর বিহারে জোট নিশ্চিত করে মোদী-অমিত শাহদের খেল খতম করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী। বিরোধী শিবিরে যখন তত্পরতা তুঙ্গে, এনডিএ শিবির তখন ছন্নছাড়া। বিহারে ৪০টি লোকসভা আসন। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিজেপি ২২টি আসন দখল করে।
সেই সাফল্যের রেশ ধরে ২০১৮-র লোকসভা ভোটে বিজেপি ২০টি আসন দাবি করছে। নীতীশের দলকে বিজেপির ১২টি, রামবিলাসের এলজেপি-কে ৬টি ও উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি-কে ২টি আসন ছাড়তে চাইছে বিজেপি।
নির্বাচনের 'ব্যাটলগ্রাউন্ড' হিসেবে পরিচিতি বিহারে, অমিত শাহের আসন সমঝোতার প্রস্তাব মানতে রাজি নয় এনডিএ শরিকরা। জেডিইউ-র দাবি, তারা যেহেতু বিহারে সরকারে আছে, তাই বৃহত্ দল হিসেবে বেশি আসন তাদের প্রাপ্য। তাদের প্রস্তাব, ১৬টি করে আসনে লড়াই করুক বিজেপি ও জেডিইউ। ৬টি আসনে লড়ুক এলজেপি ও ১টি করে আসন ছাড়া হোক আরজেডির পাপ্পু যাদব ও আরএলএসপি-কে।
বিজেপি মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করায়, ২০১৪-র লোকসভা ভোটে এনডিএ ছাড়েন নীতীশ। ওই নির্বাচনে বিহারে মাত্র ২টি আসন পায় জেডিইউ। তাদের অভিযোগ, ২০১৮ ভোটের আগে ব্র্যান্ড নীতীশকে ধূলিসাত্ করতে উঠেপড়ে লেগেছে মোদী সরকার। কিন্তু এবার ছবিটা অন্য রকম।
২০১৪-র মতো বিপুল মোদী হাওয়া এখন নেই বিহার, উত্তরপ্রদেশে উপনির্বাচনে গোঁত্তা খেয়েছে বিজেপি।সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েও কর্নাটকে সরকার গঠন করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এই সুযোগে 'চাপের রাজনীতি'র কামড় দিচ্ছে উজ্জীবিত জেডিইউ।
২০১৪-র নির্বাচনে বিহারে ৩টি আসন জিতেছিল উপেন্দ্র কুশওয়াহার আরএলএসপি। কিন্তু আসছে বছরের ভোটে কলকে পাচ্ছে না তারা। বিরোধী শিবিরে ভিড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছেন ক্ষুব্ধ কুশওয়াহা। বলে রাখি, বিহারে ১১ শতাংশ ভোটের উপরে নিয়ন্ত্রণ উপেন্দ্র কুশওয়ার।
সবমিলিয়ে বিহারের জটে আটকে গিয়েছেন মোদী-শাহ। পটনায় নীতীশ কুমারের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেও রফাসূত্র বের করতে পারেননি মোদীর সেনাপতি। ২০১৯ সালের বিহার যে বেগ দেবে বিজেপিকে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
আরও পড়ুন- একজন ঋণখেলাপকারীকেও ধার দেয়নি এনডিএ সরকার, মনে করালেন মোদী