মন্ত্রিসভা ছাড়তে চেয়ে পাওয়ারের চিঠি সোনিয়া-মনমোহনকে

আসন বিতর্কে কংগ্রেস ও এনসিপির সংঘাত চরমে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ছাড়তে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। তবে সরকারকে তাঁরা বাইরে থেকে সমর্থন করবেন বলেও জানিয়েছে এনসিপি প্রধান। শরিকদলের এই ক্ষোভের জেরে অনেকটাই বেকয়দায় কংগ্রেস।

Updated By: Jul 21, 2012, 12:37 PM IST

আসন বিতর্কে কংগ্রেস ও এনসিপির সংঘাত চরমে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা ছাড়তে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। তবে সরকারকে তাঁরা বাইরে থেকে সমর্থন করবেন বলেও জানিয়েছে এনসিপি প্রধান। শরিকদলের এই ক্ষোভের জেরে অনেকটাই বেকয়দায় কংগ্রেস। শুক্রবার কোর কমিটির বৈঠকের পর অবশ্য শরিকি সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে বলেই দাবি কংগ্রেসের।
মনমোহন ক্যাবিনেটের `নাম্বার টু` আসন বিতর্কের জেরে কংগ্রেসের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে এনসিপি। ইউপিএ  সরকার ছাড়তে চান এমনটাই চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। একই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর কাছেও। তবে মন্ত্রীসভা ছাড়লেও সরকার বাইরে থেকে সমর্থনের ইঙ্গিতও রয়েছে এনসিপি সুপ্রিমোর চিঠিতে। শরিক হিসেবে কংগ্রেসের কাছ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদা না পেয়েই যে তাঁরা এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন সেটাও  চিঠির বয়ানে পরিষ্কার করে দিয়েছেন পাওয়ার।
বস্তুত, এরপরেই রফাসূ্ত্রের খোঁজে তত্পর হয় কংগ্রেসের  থিংকট্যাঙ্ক। বিষয়টি নিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও কথা হয় শরদ পাওয়ারের। পাওয়ারকে তুষ্ট করতে তাঁর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রীও। তবে তাতেও যে চিঁড়ে ভেজেনি তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয় এনসিপি শিবির থেকে। এনসিপির তরফে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সোমবার তারা এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। শরিক এনসিপি-র এই সিদ্ধান্তে ঘোরতর সঙ্কটে পড়েছে ইউপিএ সরকার। এ নিয়ে শুক্রবার কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠকও হয়। বৈঠকের পরে কংগ্রেস অবশ্য আশাবাদী আলোচনায় মিটে যাবে শরিকি সমস্যা।

কংগ্রেসের পাওয়ার-বিরোধী নেতারা মনে করছেন, সরকার ছাড়ার হুমকি দিয়ে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়ালেও এখনই ওই পথে হাঁটবেন না মারাঠা স্ট্রংম্যান।  কারণ, কেন্দ্রে সরকার থেকে এনসিপি বেড়িয়ে গেলে তার প্রভাব পড়বে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতির সমীকরণেও। সেক্ষেত্রে সঙ্কটে পড়তে পারে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকারও। এদিন মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ অনুগামী এনসিপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় ভারি শিল্প ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিষয়ক মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেল বলেছেন, ইউপিএ সরকারকে চাপে ফেলার কোনও অভিপ্রায় তাঁদের নেই।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের আগে শরিক কংগ্রেসের ওপর চাপ বাড়াতেই এনসিপির তরফে এই হুঁশিয়ারি। কারণ, প্রথমে তৃণমূল, এবার এনসিপি। একের পর এক জোট শরিকের এই চাপের রাজনীতিকে হাল্কা করে দেখতে রাজি নয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। নির্বাচনের আগে শরিকদের এধরনের আচরণ আমজনতার কাছে নেতিবাচক বার্তা দিতে পারে, এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কংগ্রেস শিবির। ফলে ভারসাম্যের রাস্তায় হাঁটতে শরিকদলগুলিকে কখনও চাপে ফেলে, কখনও বুঝিয়ে-সুঝিয়ে জোটে ধরে রাখার চেষ্টাই চালিয়ে যাবে কংগ্রেস হাইকমান্ড।

.