মানুষ ভুল ক্ষমা করে দেবে, মার্কিনমুলুকে বললেন মোদী
মার্কিনমুলুকে অনাবাসী ভারতীয়দের কাছে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালালেন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হোয়ার্টন বিতর্ক নিয়ে মোদী শিবির যখন সরগরম, ঠিক তখনই ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকাগো এবং নিউ জার্সিতে বার্তা দিলেন গুজরাটের বিকাশ পুরুষ। নিজের বক্তব্যে ধর্মনিরপেক্ষতা আর ভারতকে সমার্থক করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। বলেছেন, "সরকার ভাল কাজ করলে, মানুষ ভুল ক্ষমা করে দেবে।" যদিও মোদীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস।
মার্কিনমুলুকে অনাবাসী ভারতীয়দের কাছে ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালালেন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হোয়ার্টন বিতর্ক নিয়ে মোদী শিবির যখন সরগরম, ঠিক তখনই ভিডিও কলের মাধ্যমে চিকাগো এবং নিউ জার্সিতে বার্তা দিলেন গুজরাটের বিকাশ পুরুষ। নিজের বক্তব্যে ধর্মনিরপেক্ষতা আর ভারতকে সমার্থক করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। বলেছেন, "সরকার ভাল কাজ করলে, মানুষ ভুল ক্ষমা করে দেবে।" যদিও মোদীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস।
হোয়ার্টন ইন্ডিয়া ইকনমিক ফোরাম তাঁর আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাতে কী? মার্কিন মুলুকে নিজের বার্তা তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্যবস্থাটা অবশ্য হোয়ার্টন বিতর্কের আগে থাকতেই করা ছিল। কিন্তু বিতর্কের তপ্ত আবহে সেটাই যেন হয়ে উঠল মহার্ঘ সুযোগ। ভিডিও কলের মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বললেন, "সব কিছুর আগে দেশ। ঐক্যবদ্ধ ভারতই শ্রেষ্ঠ ভারত।" চিকাগো, নিউ জার্সিতে বসে তা লাইভ শুনলেন কয়েকশো অনাবাসী ভারতীয়।
বিজেপি ঘনিষ্ঠ আমেরিকার অনাবাসী ভারতীয়রা এই বক্তৃতার আয়োজন করেছিলেন। গোধরা পরবর্তী জাতি হিংসার ঘটনায় মোদীর ভূমিকার জন্য হোয়ার্টন ইন্ডিয়া ইকনমিক ফোরাম তাঁর আমন্ত্রণ বাতিল করে দিয়েছে। অনাবাসী ভারতীয়দের বড় অংশের তীব্র আপত্তিতে বাতিল হয়েছে সেই আমন্ত্রণ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মোদীর ওপর থেকে দশ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও এখনও তাঁকে ভিসা দিতে নারাজ আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে পারলে, ভারতেও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে পায়ের তলায় শক্ত জমি পেতেন মোদী। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আলাদা মাত্রা পেত। কিন্তু তা হয়নি। তাই অন্য মঞ্চে বক্তৃতার সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন তিনি।
গুজরাট হিংসার প্রসঙ্গ না টানলেও তিনি বলেছেন, "স্বার্থের কথা না ভেবে নিরলস ভাবে মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে। তাহলে জনগণ সরকারের ভুল ক্ষমা করে দেবে।" ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন তিনি। মোদীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। কংগ্রেস মুখপাত্র রসি আলভি বলেছেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রকৃত অর্থ মোদীর এখনও বুঝতে বাকি আছে। দেশাত্মবোধের আবেগ এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা দুটোই মোদীকে অর্জন করতে হবে। ইন্ডিয়া ফার্স্ট। লোকসভা নির্বাচনে এটিই কি নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান হতে চলেছে? উত্তর বলবে সময়।