Earthquake in India: ভূমিকম্পের পরই উত্তরভারতের আকাশে রহস্যময় আলো! ঝড় উঠল নেটপাড়ায়
Earthquake in India: নেটিজেনদের দাবি, ওই রহস্যময় আলো দেখা গিয়েছে হরিয়ানা ও পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায়। নয়ডা, গুরুগ্রামেও কেউ কেউ লক্ষ্য করেছেন আকাশের ওই রহস্যময় আলো। কেন এমন আলো? বিজ্ঞানীরা বলছেন ভূমিকম্পের পর আকাশে এরকম আলো দেখা যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার রাত ১০টা ২১ নাগাদ ফের কেঁপেছে রাজধানী দিল্লি-সহ সন্নিহিত এলাকা। কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে পঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা ও কাশ্মীরে। কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৬। কেঁপে ওঠে পাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাগিস্থান, আফগানিস্তান, এমনকী, চিনও। উৎসস্থল? আফগানিস্তান। কম্পনের স্থায়িত্ব ছিল ৪০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড। কিন্তু অনেকেই বলছেন এক অদ্ভূত দৃশ্যের কথা। ভূমিকম্পের পর উত্তরভারতের বিভিন্ন জায়গায় আকাশে দেখা দিয়েছে এক রহস্যময় আলো। তোলপাড় নেটপাড়া।
আরও পড়ুন-ফের ভূমিকম্প দিল্লিতে! আতঙ্কে রাস্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা
নেটিজেনদের দাবি, ওই রহস্যময় আলো দেখা গিয়েছে হরিয়ানা ও পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায়। নয়ডা, গুরুগ্রামেও কেউ কেউ লক্ষ্য করেছেন আকাশের ওই রহস্যময় আলো। কেন এমন আলো? বিজ্ঞানীরা বলছেন ভূমিকম্পের পর আকাশে এরকম আলো দেখা যায়। একে বলা হয় 'ভূমিকম্পের আলো'। বিষয়টি নতুন নয়। বহু দিন আগে থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভূমিকম্পের আগে ও পরে এমন আলো দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে শোনা যায়। আকাশে আলোর ছোপ-এর ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। তাই একে অস্বীকার করা উপায় নেই।
@isro @NASA @NatGeo Sky changing color post #Earthquake in Yamunanagar pic.twitter.com/ZYSbL9UPy9
— Vikram Bakshi (@Vikram4290) March 21, 2023
#Breaking Earthquake light spotted in some parts of Haryana and Punjab.#thread https://t.co/EQu0DJgqBU pic.twitter.com/oWGau3NNyp
— Vikrant Thardak (@VikrantThardak) March 21, 2023
কেন এমন আলো? গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীর নীচে প্লটগুলির স্থান স্থানচ্যুতির ফলেই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। তাতেই পৃথিবীর পাহাড় পর্বতগুলিতে একটি চাপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে তৈরি হয় বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের। তাতেই আলোর এক আভা তৈরি হয় আকাশে। এতে বেশিরভাগক্ষেত্রে ভূমিকম্পের আগে ও ভূমিকম্পের সময়ে আলোর আভা দেখা যায়। ভূমিকম্পের পর এমন আভা দেখা যায় খুব কমই। তবে কম্পনের ফলে আলোর যে আভা তৈরি হয় তার অবস্থান ও প্যাটার্ন সম্পর্কে এখনও সঠিক ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা।
ওই আলোর আভার উত্পত্তি ও তৈরির সময় হিসেবে এটিক দুভাগে ভাগ করা যায়। একটি হল কম্পনের আগের আলো এবং দ্বিতীয়টি হল ভূমিকম্পের উত্সস্থলে তৈরি হওয়া আলো। যেসব জায়গায় আফটার শক হয় সেখানে এই ধরনের আলো দেখতে পাওয়া সম্ভাবনা কম।