মুসলিম দম্পতির দুটির বেশি সন্তান হলে শাস্তি দেওয়া উচিত, বললেন প্রবীণ তোগাড়িয়া
ধর্মভিত্তিক জনগণনায় গত দশ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের প্রসঙ্গ তুলে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শীর্ষ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া। বর্ষীয়াণ এই ভিএইপি নেতা বললেন, মুসলিম দম্পতির দুটির বেশি সন্তান হলে শাস্তি পাওয়া উচিত। তার যুক্তি শাস্তির ভয় না থাকলে মুসলিমরা কিছুতেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হবে না।
ওয়েব ডেস্ক: ধর্মভিত্তিক জনগণনায় গত দশ বছরে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের প্রসঙ্গ তুলে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শীর্ষ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া। বর্ষীয়াণ এই ভিএইপি নেতা বললেন, মুসলিম দম্পতির দুটির বেশি সন্তান হলে শাস্তি পাওয়া উচিত। তার যুক্তি শাস্তির ভয় না থাকলে মুসলিমরা কিছুতেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হবে না।
ক দিন আগে তোগাড়িয়া বলেছিলেন, জনসংখ্যা জিহাদের ফলে হিন্দু বিলুপ্ত হতে পারে, এজন্য সারা দেশে দুটি সন্তান আইন বাস্তবায়ন করা উচিত। সঙ্গে বলেছিলেন, 'হিন্দু জনসংখ্যা দ্রুত বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মুসলমানদের জনসংখ্যা পদ্ধতিগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।'
তিনি এর আগে বলেছিলেন, 'যদি এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে ভারত থেকে হিন্দু ওইভাবে সাফাই হয়ে যাবে যেরকম আফগানিস্তান এবং কাশ্মীরে হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর সাধু সম্মেলনে এই বিষয়টি তোলা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তোগাড়িয়া।
প্রসঙ্গত, ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদমসুমারি রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতের মোট জনসংখ্যা ১২১.০৯ কোটি। এরমধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ৯৬.৬৩ কোটি। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ১৭ কোটি ২২ লক্ষ।
২০০১ সালে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৫২ শতাংশ। ২০১১ সালে এই বৃদ্ধির হার কমে ২৪.৬০-এ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ২০০১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৯.৯২ শতাংশ। ২০১১ সালে এই বৃদ্ধির হার ১৬.৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে মাত্র ৩ শতাংশ।