শিনা ডায়েরিতে লিখেছিলেন, 'ইন্দ্রাণী মা নয়, আসলে ডাইনি'
শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে আরও বিপাকে পড়লেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি। মা ইন্দ্রাণীকে সে তাকে মোটেও পছন্দ করত না সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল শিনা বোরার লেখা ডায়েরিতে। মায়ের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ডায়েরিতে একটা সময় শিনা এমনও লেখেন, যে ইন্দ্রাণী মা নয়, একজন ডাইনি। ইতিমধ্যেই ইন্দ্রাণী ও শিনার মেল চালাচালি পরীক্ষা করে পুলিস জানতে পেরেছে দু জনের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল।
ওয়েব ডেস্ক: শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে আরও বিপাকে পড়লেন ইন্দ্রাণী মুখার্জি। মা ইন্দ্রাণীকে সে মোটেও পছন্দ করত না সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল শিনা বোরার লেখা ডায়েরিতে। মায়ের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ডায়েরিতে একটা সময় শিনা এমনও লেখেন, যে ইন্দ্রাণী মা নয়, একজন ডাইনি। ইতিমধ্যেই ইন্দ্রাণী ও শিনার মেল পরীক্ষা করে পুলিস জানতে পেরেছে দু জনের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। শিনা তার মায়ের প্রতি তীব্র ঘৃণা উগড়ে দিয়েছেন ডায়েরিতে। ডায়েরিতে বাবা সিদ্ধার্থ দাসের প্রতি নানা বিষয়ে অভিমান প্রকাশ করেছে শিনা।
ডায়েরি থেকে আরও জানা গেল তার আসল বাবা সিদ্ধার্থ দাসকে শিনা কত ভালবাসত। ২০০৩ সাল থেকে ডায়েরি লেখা শুরু করেন শিনা। সেই ডায়েরির শুরুর দিকে লেখা 'বাবা, আমি তোমার ওপর খুব রেগে আছি। আমি তোমাকে চিঠি লেখার সময় পাই না , কিন্তু তুমি আমায় কিছু লেখো না কেন! খুব খারাপ এটা। অবশ্য আমারও সরি বলা উচিত। ক্লাস টেনের পড়াশোনা নিয়ে আমি এত ব্যস্ত থাকি যে তোমার সঙ্গে সেভাবে কথাই বলতে পারি না।'
পিতৃস্নেহে আকুল শিনা আবার লিখেছেন, 'বাবা আমি তোমার কথা শুনে আমার নখ বাড়তে দিইনি। তুমিই তো বলেছিলে আগে পড়াশোনা, তারপর স্টাইল। আমি জানি তুমি আমায় অনেক কিছু বলতে চাও, কিন্তু তোমার চিঠিতে তুমি কিছু লিখছ না। আমি সমস্যায় আছি বাবা। আমায় HSLC-তে ভর্তি হওয়ার জন্য ফর্ম পূরণ করতে হবে, সেখানে আমায় লিখতে হবে আমার জাতি কী। আমি খুব বিভ্রান্তির মধ্যে আছি কারণ আমি জানি না আমার জাতিটা ঠিক কী। তুমি আমায় যা বলতে চাওয়া সব বল আমি শুনব।' সঙ্গে সে জানায়, চারদিকি থেকে নানা হতাশা তাকে গ্রাস করছে।
(সূত্র- ডিএনএ ও জি নিউজ)