মুম্বইয়ে এক মডেলকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তিন পুলিস কর্মী

মুম্বইয়ে এক মডেলকে ধর্ষণের অভিযোগে তিন পুলিসকর্মী সহ ছ'জনকে গ্রেফতার করা হল। যৌনপেশা চালাচ্ছেন। এই অভিযোগে আন্ধেরির এক পাঁচ তারা হোটেল থেকে ওই মডেলকে সাকিনাকা পুলিস স্টেশনে তুলে নিয়ে যান ওই তিন পুলিস কর্মী। বুধবার পুলিস কমিশনারের কাছে নিজের বয়ানে নিগৃহীতা জানিয়েছেন আরও তিন ব্যক্তির সঙ্গে তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত পুলিস কর্মীরা। পুলিস চৌকিতেই , তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় ৭ লক্ষ টাকা। চলে যৌন নির্যাতন। অভিযোগ, এক পুলিস অফিসার তাঁকে ওরাল সেক্সেও বাধ্য করে।

Updated By: Apr 24, 2015, 01:00 PM IST
মুম্বইয়ে এক মডেলকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তিন পুলিস কর্মী

মুম্বই: মুম্বইয়ে এক মডেলকে ধর্ষণের অভিযোগে তিন পুলিসকর্মী সহ ছ'জনকে গ্রেফতার করা হল। যৌনপেশা চালাচ্ছেন। এই অভিযোগে আন্ধেরির এক পাঁচ তারা হোটেল থেকে ওই মডেলকে সাকিনাকা পুলিস স্টেশনে তুলে নিয়ে যান ওই তিন পুলিস কর্মী। বুধবার পুলিস কমিশনারের কাছে নিজের বয়ানে নিগৃহীতা জানিয়েছেন আরও তিন ব্যক্তির সঙ্গে তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত পুলিস কর্মীরা। পুলিস চৌকিতেই , তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় ৭ লক্ষ টাকা। চলে যৌন নির্যাতন। অভিযোগ, এক পুলিস অফিসার তাঁকে ওরাল সেক্সেও বাধ্য করে।

ক্রাইম ব্রাঞ্চের সূত্রানুযায়ী, ৩ এপ্রিল এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে ওই পাঁচতারা হোটেলে যান অভিযোগকারিনী। কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে এসে উপস্থিত হয়। নিজেদেরকে সাকিনাকা পুলিস স্টেশনের পুলিস কর্মী বলে পরিচয় দেয়। তারা জানায়, তাদের কাছে খবর আছে বেআইনি যৌনপেশা চালাতেই ওই মডেল নাকি হোটেলে এসেছেন।

এরপর সাকিনাকা পুলিস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। নিগৃহীতার অভিযোগ, এরপর পুলিসকর্মীরা তাঁর কাছে টাকার দাবি করে। হুমকি দিয়ে বলে, টাকা না দিলে যৌনপেশা চালানোর অভিযোগে তাঁকে আটক করে রাখা হবে।
 
সাহায্য চেয়ে এরপর প্রেমিককে ফোন করেন ওই মডেল। তাঁর প্রেমিক পুলিসকর্মীদের কিছু টাকা দিতে চাইলে, তারা আরও বেশি টাকার দাবি জানায়। এরপর মাকে ফোন করে ওই মডেল এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ৭ লক্ষ টাকা ট্রান্সফর করার।

তিনি অভিযোগ করেছেন, এরপর এক অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস ইন্সপেক্টর চাঁন্দিভালিতে সংঘর্ষ নগরের কাছে একটি পুলিস চৌকিতে তাঁকে টেনে নিয়ে যায়। বাধ্য করে ওরাল সেক্সে। পরের দিন ভোর ৪টে পর্যন্ত তাঁকে জোড় করে ওই পুলিস চৌকিতেই বসিয়ে রাখা হয়।  

ছাড়া পাওয়ার পর ওই মডেল প্রথমেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে যান চেক আপের জন্য।

মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনার জানিয়েছেন ''ঘটনার সংবেদনশীলতা অনুভব করেই এমআইডিএস পুলিস স্টেশনে জিরো এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, যাতে নিগৃহীতাকে আর সেই পুলিস স্টেশনেই হাজিরা দিতে না হয়, যেখানে তিনি নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন। পরে মামলাটি সাকিনাকা স্টেশনে স্থানান্তরিত করা হবে।''

 

 

.