Mumbai: শ্রদ্ধা খুনের ছায়া, লিভ ইন পার্টনারের দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করলেন প্রৌঢ়

Mumbai: দিল্লিতে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা আরও ভয়ংকর। শুধু খুনই নয় শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে ফ্রিজে জমা করে রেখেছিল তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। এরপর ধাপে ধাপে দেহাংশ দিল্লির বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলতে শুরু করে আফতাব

Updated By: Jun 8, 2023, 11:12 AM IST
Mumbai: শ্রদ্ধা খুনের ছায়া, লিভ ইন পার্টনারের দেহ টুকরো করে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করলেন প্রৌঢ়

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত বছর মে মাসে দিল্লিতে খুন হন শ্রদ্ধা ওয়াকার। তাঁকে খুন করে দেহ টুকরো করে কেটে তা ফ্রিজে ভরে রেখেছিল তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। খুনের নৃসংশতা কাঁপিয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এবার মুম্বইয়েও ঘটল প্রায় একই ধরনের ঘটনা। মীরা রোডে এক ব্যক্তি তার লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে গাছ কাটার ছুরি দিয়ে কেটে টুকরো করলেন দেহ। তার পর তা কুকারে সেদ্ধ করলেন।

আরও পড়ুন-প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিল 'বিপর্যয়', ত্রস্ত একাধিক রাজ্য

মীরা রোডে আকাশগঙ্গা বিল্ডিংয়ে লিভ ইন পার্টনার সরস্বতী বৈদ্যের সঙ্গে থাকতেন ৫৬ বছরের মনোজ সাহানি। গত ৩ বছর ধরে তিনি ওই ঠিকানায় থাকতেন সরস্বতীর সঙ্গে। কিন্তু বুধবার মুম্বইয়ের নয়ানাগর থানায় একটি ফোন আগে। এক ব্যক্তি বলেন আকাশগঙ্গা বিল্ডিংয়ে তাঁর পাশের ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ওই ফোন পেয়েই ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে হাজির হয় পুলিস। ঘরে ঢুকেই চোখ চানাবড়া পুলিসের।

মুম্বইয়ের ডিসিপি জয়ন্ত বাজবালে সংবাদমাধ্যমে জানান, পুলিস গিয়ে দেখে এক মহিলার দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলা এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। প্রাথমিক তদন্ত মনে করা হচ্ছে ওই মহিলাকে খুন করে তার দেহ টুকরো করে কাটা হয়েছে। নিহত সরস্বতী বৈদ্যের সঙ্গে থাকতেন ৫৬ বছরের মনোজ সাহানি। বরিভালিতে একটি দোকান চালান মনোজ। কোনও একটি বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রবল ঝগড়াঝাঁটি হয়। তার পরেই সরস্বতীর খুন করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য, দিল্লিতে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা আরও ভয়ংকর। শুধু খুনই নয় শ্রদ্ধার দেহ টুকরো করে ফ্রিজে জমা করে রেখেছিল তার লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। এরপর ধাপে ধাপে দেহাংশ দিল্লির বাইরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলতে শুরু করে আফতাব। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শ্রদ্ধার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে আফতাবের ঘরে পৌঁছে যায় পুলিস। 

একটি ডেটিং অ্য়াপের মাধ্যমে পরিচয় হয় আফতাব ও শ্রদ্ধার। তারপর ঘনিষ্ঠতা। এরপর দুজনেই মুম্বই ছেড়ে দিল্লি চলে আসে। রাজধানীতেই চাকরি শুরু করে আফতাব। গত বছর ১৭ মে গুরুগ্রামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে যায় শ্রদ্ধা। রাতে ঘরে না ফেরায় অত্যন্ত রোগে যায় আফতাব। পরদিন অর্থাত্ ১৮ মে ছতরপুরের ফ্ল্যাটে ফিরে আসে শ্রদ্ধা। রাতে ঘরে না ফেরা নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রবল ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়। রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আফতাব। এরপরই লাশ গায়েব করার জন্য দেহ টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলতে শুরু করে।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.