একুশে বিরোধী দলও হতে পারবে না তৃণমূল, পুরনো ছকে ভাঙন ধরিয়ে প্রত্যয়ী মুকুল
৩ বিধায়ক ও ৬৩ জন কাউন্সিলর যোগ দিলেন বিজেপিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনটি পুরসভার ৬৩জন কাউন্সিলরকে ভাঙিয়ে দলের আনার পরও দলবদল প্রক্রিয়া থামবে না বলে জানিয়ে দিলেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি, আগামী দিনে কাউন্সিলরদের লাইন পড়বে।
এদিন বিজেপিতে যোগ দেন শুভ্রাংশু-সহ ৩ বিধায়ক এবং নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভার ৬৩ জন কাউন্সিলর। তৃণমূলে থাকাকালীন এভাবেই ফি দিন কংগ্রেস-সিপিএম জনপ্রতিনিধিদের হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দিতেন মুকুল রায়। সেই একই কায়দায় এবার বিজেপি ভরাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের চাণক্য। বিজেপিতে গিয়েও যে তাঁর ধার কমেনি, সেটাই টের পাওয়ালেন মুকুল রায়। তাঁর দাবি, অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থাকায় সবাইকে আনা গেল না। ১-২ তারিখ থেকে ফের শুরু হবে যোগদান। মুকুলের কথায়,''তৃণমূল ছেড়ে সবাই বিজেপিতে আসবেন। যোগদান প্রক্রিয়া চলতে থাকবে। এর সঙ্গে আরও আরও অনেকে যোগদানের জন্য তৈরি''।
শুধু এখানেই থামেননি মুকুল। তাঁর চ্যালেঞ্জ, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর বিরোধী দল হওয়ার মতো আসনও থাকবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুকুলের মুখে এমনটা শুনে হেসে ওঠেন কৈলাস। বলেন, ''বিরোধী দলও থাকবে না!''
এদিন প্রত্যাশামতোই বিজেপিতে যোগ দেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। তাঁকে দিন কয়েক আগে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। বীজপুরের বিধায়কের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও হেমতাবাদের সিপিএম বিধায়ক দেবেন্দ্র রায়। এরইসঙ্গে তিনটি পুরসভার ৬৩জন কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।
বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল সিনহা আবার দাবি করেছেন, এক বছরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে। প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে বিজেপি। হুঁশিয়ারি দিয়ে রাহুল বলেছেন, ''তৃণমূলের মস্তানদের সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছি, এখনও সময় আছে, সংযত হোন। বিজেপি কর্মীদের উপরে হাত তুলবেন না। অত্যাচার করবেন না। নইলে চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজানো হবে''।
আরও পড়ুন- মুন দি-রিয়ার সঙ্গে ছবি তুলে কেষ্ট কাকাকে নকল করতে গিয়ে লবডঙ্কা অনুপম