ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই নেই: মোদী

মঙ্গলবারও নিজের বক্তব্য থেকে সরে এলেন না নরেন্দ্র মোদী। সোমবার গান্ধীনগরের একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী কংগ্রেস সভানেত্রীর বিদেশ সফর বাবদ ১৮৮০ কোটি টাকা খরচের হিসাব চান। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। কংগ্রেসের তরফ থেকে মোদীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আজও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন। বরং এক ধাপ এগিয়ে তিনি জানিয়েছেন ক্ষমতা থাকলে কংগ্রেস তাঁকে ভুল প্রমাণ করে দেখাক।

Updated By: Oct 2, 2012, 04:24 PM IST

মঙ্গলবারও নিজের বক্তব্য থেকে সরে এলেন না নরেন্দ্র মোদী। সোমবার গান্ধীনগরের একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী কংগ্রেস সভানেত্রীর বিদেশ সফর বাবদ ১৮৮০ কোটি টাকা খরচের হিসাব চান। এরপর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। কংগ্রেসের তরফ থেকে মোদীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। কিন্তু গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আজও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন। বরং এক ধাপ এগিয়ে তিনি জানিয়েছেন ক্ষমতা থাকলে কংগ্রেস তাঁকে ভুল প্রমাণ করে দেখাক।
সোনিয়া গান্ধীর বিদেশ সফরের খরচের হিসাব নিয়ে হরিয়াণার নিসারের রমেশ শর্মা নামের এক যুবক আড়াই বছর আগে একটি আরটিআই করেন। চলতি বছরের জুলাই মাসের ১২ তারিখ একটি সংবাদ পত্রে এই খবর প্রথম প্রকাশিত হয়। এই প্রসঙ্গকে টেনে এনে মোদী কংগ্রেস সুপ্রীমোর বিদেশ যাত্রার খরচের হিসাব দাবি করেন।
ওই জনসমাবেশে মোদী আরও বলেন `` আরটিআই অ্যাক্ট আনার পর নিজেদেরই পিঠ চাপড়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আইন অনুযায়ী আরটিআই ফাইল করার ৩ মাসের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আড়াই বছরেরও বেশি সময় কেটে যাওয়ার পরও কিছুই জানা যায়নি। সরকার কোন খাতে এই বিপুল পরিমাণের অর্থ ব্যয় করছে তা জানার অধিকার কি দেশের সাধারণ মানুষের নেই?`` এর সঙ্গে মোদী আরও যোগ করেন " সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্যই করছিনা। বরং আমি প্রধানমন্ত্রী কে বলতে চাই সোনিয়াজির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করুন। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধুমাত্র কিছু তথ্যের হদিশ চেয়েছি।`` বিজেপি নেতৃত্ব এই বিষয়ে গুজরাতের প্রধানমন্ত্রীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
তবে রমেশ শর্মা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী তাঁকে উদ্ধৃত করে যে সমস্ত কথা বলছেন তার সঙ্গে তাঁর কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু তার সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন সিসিআই থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দিলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর কাছে কোনও খবরই আসেনি।
অন্যদিকে প্রথমে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোদীকে এই কথা বলার জন্য ক্ষমা চাইতে বলা হয়। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বাল মোদী প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন `` বারবার মোদী কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ আনেন। এই রকম মানসিকতার এক জন ক্ষমা চাইবে সেটা ভাবাই যায়না।`` কিছুটা আক্রমণাত্মক হয়ে দ্বিগবিজয় সিং অবশ্য বলেছেন মোদী আসলে আরএসএসের নাৎসি ঐতিহ্যের ফসল।
মোদীর অভিযোগ কতটা সত্যি তা প্রমান সাপেক্ষ। কিন্তু সভানেত্রীর বিদেশ সফরের রাহা খরচের হিসাব প্রকাশ নিয়ে এখন বেশ কিছুটা ব্যাক ফুটে কংগ্রেস।

.