Privatisation Of Bank: বেসরকারি হাতে যাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক! শুরু হচ্ছে আইন পরিবর্তনের কাজ
এছাড়াও, BPCL-র বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়াও দ্রুত শেষ করতে চায় সরকার। জানা গেছে, কেন্দ্রের হাতে থাকা BPCL-এর মাত্র ৫২.৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দুটি সরকারি ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের পদ্ধতি শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট বদল করে সরকারি ব্যাঙ্কে বেসরকারি বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করে। জানা গেছে লোকসভার আগামী মনসুন সেশনে কেন্দ্র সরকার এই সংক্রান্ত একটি বিল পাস করতে চায়।
গত বছর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন বলেন কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু সরকারি ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণ করার কথা ভাবছে। সেই কারনেই ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ আইন ১৯৭০ এবং ১৯৮০ এবং ব্যাঙ্ক কন্ট্রোল আইন ১৯৪৯ সংশোধন করতে চায় তারা। অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে এই কাজ শুরু করা হয়েছে সরকারের তরফে এবং ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনের ড্রাফট তৈরির কাজও শুরু করা হয়েছে।
জানা গেছে লোকসভার আগামী মনসুন সেশনে এই বিল পাস করাতে চায় সরকার। যদিও বিরোধী দলগুলির তরফে এর বিরোধিতা করা হবে বলে জানা মনে করা হচ্ছে। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সরকার এই বিল পাস করাতে সক্ষম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সংসদে সংশোধনী পাস হলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারীকরণে কোনও বাধা থাকবে না। এরপরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে, দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে বিনিয়োগের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যদিও কোন দুটি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করা হবে তা কেন্দ্র এখনও ঘোষণা করেনি।
জানা গেছে, মোদী সরকার প্রাথমিকভাবে চারটি মাঝারি আকারের ব্যাঙ্ককে বেসরকারিকরণের জন্য বেছে নেয়। বেসরকারীকরণের জন্য প্রাথমিক তালিকায় যে চারটি ব্যাঙ্ক রাখা হয়েছিল তা হল ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পরবর্তীকালে, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বেশিরভাগ শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তাব করে নীতি আয়োগ। মোদী সরকার নীতি আয়োগের এই প্রস্তাবে সায় দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Jammu and Kashmir: শিল্পী Amreen Bhat-কে গুলি করে হত্যা Kashmir-এ, আহত ১০ বছরের শিশু
এছাড়াও, BPCL-র বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়াও দ্রুত শেষ করতে চায় সরকার। জানা গেছে, কেন্দ্রের হাতে থাকা BPCL-এর মাত্র ৫২.৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হবে। এর আগেও বিপিসিএলের শেয়ার বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছিল মোদী সরকার। প্রাথমিকভাবে তিনটি কোম্পানি বিপিসিএলের শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখায়। তবে শেষ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় একটিই কোম্পানি টিকে আছে বলে জানা গেছে।