মহাকাশে ভারতের ASAT ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কী প্রয়োজন ছিল? জানুন কী বলল বিদেশ মন্ত্রক
বুধবার ওড়িশার এপিজে আবদুল কালাম লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাত্র ৩ মিনিটেই মহাকাশে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিল ভারত। বুধবার এস্যাট মিসাইলের সফল পরীক্ষা করল ভারত। এদিন বেলা বারোটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ওই মিশনের কথা ঘোষণার পরই এনিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাল বিদেশ মন্ত্রক।
কী পরীক্ষা!
বুধবার ওড়িশার এপিজে আবদুল কালাম লঞ্চ কমপ্লেক্স থেকে উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও। টার্গেট হিসেবে ভারতের একটি পুরনো উপগ্রহকে ব্যবহার করা হয়।
#WATCH Simulation of the #ASAT BMD interceptor missile (video courtesy: Defence sources) #MissionShakti pic.twitter.com/U5Bot6tFx3
— ANI (@ANI) March 27, 2019
এর ফলে মহাকাশে যে কোনও শত্রু উপগ্রহকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করার ক্ষমতা যে আমাদের রয়েছে তা বিশ্বকে জানিয়ে দিল ভারত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও রাশিয়ার পর বিশ্বে এই ক্ষমতার অধিকারি হল ভারত।
আরও পড়ুন-'প্রচারসর্বস্ব নাটক'! প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল
কোন মিসাইল ব্যবহার!
ব্যবহার করা হয়েছিল ডিআরডিও-র ব্যালেস্টিক মিসাইল ডিফেন্স ইন্টাসেপ্টর।
এই পরীক্ষার মহাকাশে কি বর্জ্য তৈরি হবে!
গোটা পরীক্ষাটি করা হয়েছিল মহাকাশের একেবারে নিচের কক্ষপথে। তাই মহাকাশে ওই ধরনের কোনও বর্জ্য তৈরির সম্ভাবনা নেই। তাই পরীক্ষার ফলে যেসব বর্জ্য তৈরি হয়েছে তার অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বাকী যেটুকু রয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীতে এসে পড়বে।
কেন এই ধরনের পরীক্ষা!
মহাকাশ গবেষণার দ্রুত এগিয়ে চলেছে ভারত। গত ৫ বছরে এই গতি আরও বেড়েছে। মঙ্গলযান অভিযান সফল হয়েছে। গগনযান অভিযান শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভারত মহাকাশে ১০২ অভিযান চালিয়েছে। এরপর বিশ্বকে ভারতের দেখিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল যে ভারত মহাকাশেও লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন-মহাকাশেও এখন মহাশক্তিধর ভারত, জানুন ASAT ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ভোটের আগে কেন এই পরীক্ষা!
ক্ষেপণাস্ত্রটির সাফল্য নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত হওয়ার পরই তা পরীক্ষা করা হয়েছে।
ভারত কি এবার মহাকাশেও লড়াইয়ে নেমে পড়ল!
এই ধরনের কোনও লড়াইয়ে নামার ইচ্ছে ভারতের নেই। ভারত বরাবরই বলে এসেছে মহাকাশকে নিরাপদ রাখতে হবে।
মহাকাশকে কোনও লড়াই থেকে বাইরে রাখতে ভারত চুক্তিবদ্ধ(১৯৬৭)। তাই মহাকাশে কোনও লড়াইয়ে নেই ভারত।
মহাকাশে কোনও রকম ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করা যায় না। তবে সাধারণ অস্ত্রের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই।
ভারত কোনও আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেনি।
কোনও বিশেষ দেশকে উদ্দেশ্য করে এই পরীক্ষা করা হয়নি। তবে দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।