খিদেয় কাঁদছিল, আড়াই বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে দেহ ডোবায় ফেলল স্বয়ং বাবা! কেন?

খিদে না মেটায় কেঁদে চলেছিল মেয়েটি। শেষে মেয়েটিকে বুকের জোরে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেন তিনি। নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

Updated By: Nov 27, 2022, 05:36 PM IST
খিদেয় কাঁদছিল, আড়াই বছরের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে দেহ ডোবায় ফেলল স্বয়ং বাবা! কেন?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মানসিক বিকৃতি, নাকি সাময়িক উত্তেজনা, নাকি সুচিন্তিত কোনও পরিকল্পনা? না হলে আড়াই বছরের মেয়েকে কেন মেরে ফেললেন স্বয়ং বাবা! কী অপরাধ ছিল মেয়ের? না, মেয়ের কোনও দোষ ছিল না। আপাতত জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা নাকি ঋণে ডুবে গিয়েছেন এবং তিনিই আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে করতে পারলেন না। বাবা রাহুল পারমার। খিদের জ্বালায় তাঁর আড়াই বছরের মেয়েটি কাঁদছিল। রাহুলের পকেটে যে টাকা ছিল তা দিয়ে সামান্য কিছু খাবার মেয়েকে কিনেও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে খিদে না মেটায় তার পরেও কেঁদে চলেছিল মেয়েটি। শেষে মেয়েটিকে বুকের জোরে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেন তিনি। নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। পুলিসকে এ কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তবে মেয়েকে খুনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরুর কোলার থানার পুলিস।

আরও পড়ুন: Vande Bharat Trains: ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতীয় ট্রেনে আসছে সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি...

কী ঘটেছিল?

মেয়ে জিয়াকে স্কুলে দিতে যাওয়ার নাম করে তাকে নিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রাহুল। সারাদিন কেটে যাওয়ার পরেও স্বামী ও মেয়ে না ফেরায় রাহুলের স্ত্রী থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরদিনই বেঙ্গালুরু-কোলার হাইওয়ের ধারের একটি ডোবা থেকে জিয়ার দেহ উদ্ধার হয়। জেরায় পুলিসকে রাহুল জানিয়েছেন, ১৫ নভেম্বর সকালে বেঙ্গালুরুর আশপাশে মেয়েকে গাড়িতে নিয়ে ঘোরেন তিনি। আত্মহত্যা করবেন স্থির করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু কী ভাবে করবেন, সেটা স্থির করতে পারছিলেন না। বিশেষ করে মেয়ের সামনেই আত্মহত্যা করবেন কিনা, নিতে পারছিলেন না সেই সিদ্ধান্তও। সময়ও গড়িয়ে যাচ্ছিল। বেশ কিছুক্ষণ এ দিক-ও দিক ঘোরার পর শেষমেশ বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্তই নেন। কিন্তু পাওনাদারদের অশ্রাব্য গালিগালাজ, হেনস্থা বারবার তাঁর চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। এর পরই হ্রদের ধারে গাড়ি থামিয়েছিলেন। তখন সন্ধ্যাবেলা। 

বছর পঁয়তাল্লিশের রাহুল পারমার গুজরাতের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। পুলিসের কাছে তাঁর দাবি, একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন, কাজটা চলে যায়। কিছু বিনিয়োগও করেছিলেন। তাতেও বিপুল ক্ষতি হয়। বাজারে প্রচুর ধারদেনা হয়েছিল। দেনা মেটাতে সোনার গয়না বিক্রি করতে হয়েছিল। কিন্তু তা-ও ধার রয়ে যায়। পাওনাদাররা বাড়িতে নিয়মিত হানা দিতেন। এর পরই কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন রাহুল। কিন্তু ঘটনা গড়িয়ে যায় এই দিকে। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)  

.