রাইসিনা হিলের দখল: 'এটা একটা আদর্শের লড়াই', মনোনয়ন জমার পর বললেন বিরোধী জোটের প্রার্থী মীরা কুমার
ওয়েব ডেস্ক: সর্বশেষে বিরোধীদের 'এক' করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর হাত ধরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দলিত নেত্রী করলেন মীরা কুমার। 'বিজেপিকে ঠেকাতে হবে', তাই সমস্ত বিরোধীদের এক করতে হবে এটাই ছিল কংগ্রেসের একমাত্র পথ। আর সেই পথেরই পথিক হল সিপিএম-তৃণমূলও। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলিত নেত্রী মীরা কুমারের মনোনয়ন জমা করার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এক হয়ে গেল বঙ্গের চিরযুযুধান দুই দল। সিপিএম, তৃণমূল ছাড়াও আজ লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার তথা পাঁচ বারের সাংসদ মীরা কুমারের মনোনয়ন পত্র জমা করার কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিল রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমজাবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা। বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং সহ আরও অনেকে।
২৭ জুলাই 'রাইসিনা হিল দখলের' জন্য লড়াই করবেন 'দলিত কা বেটা' আর 'দলিত কি বেটি'। এনডিএ প্রার্থী বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দের বিরুদ্ধে ইউপিএ প্রার্থী মীরা কুমার। 'পার্টিগণিত' অনুযায়ী রামনাথ কোবিন্দের রাষ্ট্রপতি হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে রাষ্ট্রপতি ভোটে দলিত প্রার্থীকে খাড়া করে বিরোধী শিবিরের এককাট্টা অবস্থান তুলে ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে বিরোধী শিবির। উল্লেখ্য এই 'বিরোধী ঐক্যে' ফাটল ধরিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। কথা দিয়েও কথা রাখেননি, তাই নীতিশ কুমারকে 'ধোকেবাজ'ও বলছে লালুর আরজেডি সহ বিরোধী ঐক্যের একাধিক কুশিলব।
বিরোধীদের প্রার্থী মীরা কুমার অবশ্য বলছেন, "এটা আদর্শের লড়াই। জাতের পরিচিতিকে এখানে কখনই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত নয়। এর আগেও যখন এই পদের জন্য নির্বাচন হয়েছে তখন প্রতিদ্বন্দ্বীদের দক্ষতা, গুণ, পড়াশুনা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। জাত-পাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।"