আইপিএল বাজি চড়ছে চরমে, নৃশংস খুন মায়ানগরীতে

আইপিএলের মরসুম। অগুন্তি টাকা ওড়ার বদনাম রয়েছে হালফিলের এই ক্রিকেট ঘরানায়। এবার আইপিএল বেটিংয়ের বলি হল এক কিশোর। বাজির হেরে যাওয়া টাকা ফেরৎ পেতে মুম্বইয়ের এক যুবক যেভাবে `মরিয়া` হয়ে উঠলেন, তা ব্যাখ্যায় `ডেসপারেট` শব্দটা নিতান্তই ছোট। এমবিএ ছাত্র। আইপিএল ম্যাচের ৩০ লক্ষ টাকার বাজি হেরে যাওয়ায় নিজের ১৩ বছরের ভাইকে অপহরণ করল সে। পুলিসে জানাজানি হতেই ঢেরা পড়ে যায় শহর জুড়ে। করুণ পরিণতি হয় কিশোরটির। নৃশংস ভাবে দাদার হাতেই খুন হতে হল আদিত্যকে।

Updated By: May 15, 2013, 05:40 PM IST

আইপিএলের মরসুম। অগুন্তি টাকা ওড়ার বদনাম রয়েছে হালফিলের এই ক্রিকেট ঘরানায়। এবার আইপিএল বেটিংয়ের বলি হল এক কিশোর। বাজির হেরে যাওয়া টাকা ফেরৎ পেতে মুম্বইয়ের এক যুবক যেভাবে `মরিয়া` হয়ে উঠলেন, তা ব্যাখ্যায় `ডেসপারেট` শব্দটা নিতান্তই ছোট। এমবিএ ছাত্র। আইপিএল ম্যাচের ৩০ লক্ষ টাকার বাজি হেরে যাওয়ায় নিজের ১৩ বছরের ভাইকে অপহরণ করল সে। পুলিসে জানাজানি হতেই ঢেরা পড়ে যায় শহর জুড়ে। করুণ পরিণতি হয় কিশোরটির। নৃশংস ভাবে দাদার হাতেই খুন হতে হল আদিত্যকে।
পুলিস জানিয়েছে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিমাংশু রাঙ্কা তাঁর এক বন্ধু বিজেশ সাংভির সঙ্গে অপহরণের ছক কষে। আইপিএল বাজি হেরে হোশ খুইয়েই এমবিএ স্নাতক দুই ছাত্র এই অপরাধ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিস। এক সপ্তাহ আগেই হিমাংশু খেয়াল করে কাকার কাছে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা রয়ছে।
সোমবার হিমাংশু ১৩ বছরের আদিত্যর বাবার বন্ধু সেজে তাঁকে অফিসের চাবি নিয়ে আসতে বলে। সে দিন দুপুরেই একটি ফোন আসে আদিত্যর পরিবারের কাছে। মুক্তিপণ হিসাবে ৩০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয় ফোনে। এরপরই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেন আদিত্যর বাবা জিতেন্দ্র রাঙ্কা। সেই সময় কাকার সঙ্গে ছিলেন হিমাংশুও। ভাইপোর অপরাধ সম্পর্কে তখনও কিছুই টের পাননি জিতেন্দ্র। ছোট্ট আদিত্যর পরিবার যাতে ঘুণাক্ষরেও সন্দেহ না করে, তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাকার দুঃখের সময় পাশে থাকার ভান করেছিলেন হিমাংশু।
কিন্তু ভুল ধরা পড়তে বেশি সময় লাগেনি। সেই রাতেই মুম্বইয়ের পুলিস কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে যখন হিমাংশুর সঙ্গে ফিরছেন জিতেন্দ্র। সেই সময় তাঁর চোখ পরে হিমাংশুর বন্ধু থেকে ধার করা গাড়িতে রয়েছে এক জোড়া চটি। চটি দুটি আদিত্যর জন্য দুবাই থেকে নিজেই কিনেছিলেন জিতেন্দ্র। সন্দেহ জোরাল হয় বাবার। গোটা বিষয়টি পুলিসকে জানাতে দেরি করেননি তিনি। গাড়িটিকে আটক করে পুলিস। গাড়ির বোনেটের নিচে রক্তের দাগ দেখতে পান তাঁরা।
জেরায় হিমাংশু পুলিসকে জানায়, বিজেশ আদিত্যকে অপহরণ করে মধ্য মুম্বইয়ের সিওনে লুকিয়ে রাখে। তারপর সেখান থেকে মহারাষ্ট্রর রায়গাদে নিয়ে যায়। যখনই অপহরণকারীরা জানতে পারে আদিত্যর পরিবার পুলিসে খবর দিয়ছে, তখনই ছেলেটকে প্রাণে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় দু`জন। খুনের ঘটনার কূশীলব হিমাংশুর বন্ধু বিজেশ। একবারে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়ায় মুম্বইয়ের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শুকনো ঘাসে পুড়িয়ে মারা হয় আদিত্যকে। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে আদিত্যর দগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে।

.