এ বারের লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন না মায়া
পাশে রয়েছেন অখিলেশ যাদব। বুয়া-ভাতিজা মিলে সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে উপনির্বাচনের তাঁদের ক্ষমতা দেখিয়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেঘের আড়ালে লড়বেন মায়াবতী? বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়ে দিলেন বসপা সুপ্রিমো। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে লড়ছি না। আমার এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি বুঝবে দল। প্রয়োজন হলে পরবর্তীকালে যে কোনও কেন্দ্র থেকে লড়ে জিততে পারি। মায়াবতীর এ হেন সিদ্ধান্তে যারপরনাই অবাক রাজনৈতিক মহল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে মোট ৫০৩ আসনে লড়ে একটিও জিততে পারেনি বসপা। বলা ভাল, ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনে জেতা ২১টি আসন খোয়াতে হয় ২০১৪-তে নরেন্দ্র মোদীর ঝড়ে। এ বার সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে না নেমে পারবেন কি কোনও আসন জিততে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
পাশে রয়েছেন অখিলেশ যাদব। বুয়া-ভাতিজা মিলে সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে উপনির্বাচনের তাঁদের ক্ষমতা দেখিয়েছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দূর্গ গোরক্ষপুর লোকসভা আসনটি নিজেদের দখলে রেখেছিল। সেই আত্মবিশ্বাসেই ভর করে লোকসভা নির্বাচনে লড়ছে সপা-বসপা জোট। কংগ্রেসকে রায়বরেলী ও অমেঠি ছেড়ে দিয়ে বাকি আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন অখিলেশ-মায়া। এর পরই কংগ্রেস রাজনৈতিক ময়দানে নামায় প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে।
আরও পড়ুন- গোয়ায় মুখরক্ষা বিজেপির, আস্থা ভোটে জিতল প্রমোদ সাওয়ান্তের সরকার
উত্তর প্রদেশ পূর্ব প্রিয়ঙ্কা এবং পশ্চিমে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া - রাজনীতিতে তরুণ এই দুই ব্যক্তিকে নামিয়ে জমি পোক্ত করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। বিজেপিকে রুখতে মুখোমুখি লড়াইয়ে এখন কংগ্রেস এবং সপা-বসপা জোট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এতে ফায়দা হবে বিজেপিরই। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই জন্য অখিলেশদের ৭টি আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। যেখানে মুলায়ম, ডিম্পল, অখিলেশের মতো হেভি ওয়েট প্রার্থীরা রয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের এই প্রস্তাবকে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়ানো হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন মায়াবাতী। তাঁর সাফ কথা, বিজেপিকে রুখতে একাই কাফি মায়াবতী।