গোয়ায় মুখরক্ষা বিজেপির, আস্থা ভোটে জিতল প্রমোদ সাওয়ান্তের সরকার

বুধবার ২০ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়ে আস্থা ভোটে জিতলেন প্রমোদ সাওয়ান্ত।

Updated By: Mar 20, 2019, 02:15 PM IST
গোয়ায় মুখরক্ষা বিজেপির, আস্থা ভোটে জিতল প্রমোদ সাওয়ান্তের সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন:  গোয়া বিধানসভার আস্থা ভোটে জিতল বিজেপি। বুধবার গোয়ায় সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের আস্থা ভোট ছিল। সেই নির্বাচনে তিনি সসম্মানে উত্তীর্ণ হলেন। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপিরও মুখরক্ষা হল।

গোয়া বিধানসভার আসন সংখ্যা ৪০। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৪টি আসনে জিতেছিল। মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির তিনজন, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির তিনজন ও তিনজন নির্দল বিধায়ক নিয়ে সরকার গড়েছিল বিজেপি।

গোয়া বিধানসভায় সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ২১। বিজেপির সরকার হয়েছিল তার থেকে দু'জন বেশি বিধায়ক (২৩) নিয়ে। ফলে একক বৃহত্তম দল হিসেবে ১৬টি আসন পেয়েও বিরোধী আসনে বসতে হয়েছে কংগ্রেসকে।

আরও পড়ুন: পরিবারতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্লগ লিখলেন মোদী

কিন্তু সম্প্রতি দু'জন কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করেন। গত মাসে একজন বিজেপি বিধায়ক ফ্রান্সিস ডি'সুজা মারা গিয়েছেন। রবিবার প্রয়াত হলেন মনোহর পর্রীকর। ফলে এখন গোয়া বিধানসভার বিধায়ক সংখ্যা ৩৬ জন। তাই এখন ১৯ হল গোয়ার ম্যাজিক ফিগার।

বুধবার ২০ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়ে আস্থা ভোটে জিতলেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। তাঁর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৫টি।

রবিবার সন্ধ্যায় প্রয়াত হন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। বছর ৬৩-র ওই বিজেপি নেতা বছরখানেক ধরে অগ্নাশ্যয়ের ক্যানসারে ভুগছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৭ সালে গোয়ায় সরকার গঠনের চাবিকাঠি ছিলেন পর্রীকর। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হলে তবেই সমর্থন দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন শরিকরা।

আরও পড়ুন: হাতে আর মাত্র ৫ দিন, কবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি?

সেই পরিস্থিতিতে গোয়ার সরকার গড়তে পর্রীকর প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পনজিম ফিরে যান। ফলে সরকার বাঁচাতে ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

তাই তাঁর প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই গোয়ায় রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। পর্রীকরের বদলি কে হবেন, সেটা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। সেই আলোচনায় ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়িও।

সোমবার দিনভর শরিকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলে বিজেপির। প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন নিতিন গড়কড়ি। মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিদার হয়ে ওঠেন একাধিক শরিক নেতা। প্রত্যেকেই চাপ বাড়াতে থাকে বিজেপির উপর।

শেষপর্যন্ত প্রমোদ সাওয়ান্তের নাম চূড়ান্ত হয়। সোমবার গভীর রাতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মঙ্গলবার সকালে কাজেও যোগদান করেন। তখনই জানা গিয়েছিল, বুধবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা হবে বিজেপির। সেই পরীক্ষায় জিতল বিজেপি।

.